আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আইন নিজের হাতে
তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই।

“যদি কেউ কোনো অপরাধ করে, তাহলে সেই ব্যক্তিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা উচিত। আইন নিজের হাতে তুলে
নেওয়ার অধিকার আপনার নেই,” চলমান জনতার বিচার সম্পর্কে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন। .

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক ঘটনার বিষয়ে মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, তিনি নোটিশ
নিয়েছেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সদর দফতরে পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “তারা
(বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা) উচ্চ শিক্ষিত হওয়ায় এটি হওয়ার কথা ছিল না, তাদের মধ্যে একটি সচেতনতা থাকা উচিত।”

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনসচেতনতা বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছেন জনতার বিচার প্রতিরোধ করতে এবং নিশ্চিত করুন যে কোনও
নিরপরাধ ব্যক্তি হয়রানির শিকার না হয়।

বুধবার রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমেদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তোফাজ্জল নামে এক
ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

সাংবাদিকরা আরেকটি বিষয় তুলে ধরেন যে, ছাত্র-জনতার ব্যাপক গণঅভ্যুত্থানের পর শত শত মানুষকে আসামি করে মামলা করা
হচ্ছে, অভিযোগকারীও জানেন না আসামি কারা।

জবাবে উপদেষ্টা বলেন, “পুলিশ আগে মামলা করত। এই সময়ের মধ্যে কি কোনো পুলিশ মামলা করেছে?”

জাহাঙ্গীর বলেন, “পুলিশ আগে দশ হাজার এবং আরো শত শত অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে মামলা করত। পুলিশ কোনো মামলাই
পূরণ করছে না… সাধারণ নাগরিকরা মামলা করছে। পুলিশের করা এমন কোনো মামলা থাকলে অনুগ্রহ করে আমার কাছে আসেন,”
বলেন জাহাঙ্গীর।

ক্রমাগত মামলা ভরাটের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, আপনাদের এটা নাগরিকদের বলতে হবে যে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা
করুন।

পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, পুলিশ বাহিনী অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যে কারণে তাদের কাজ
করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

জাহাঙ্গীর বলেন, পুলিশ যাতে তাদের মনকে উজ্জীবিত করে তাদের আগের গৌরব পুনরুদ্ধার করতে পারে সেজন্য তারা বাহিনীকে
নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে জনবান্ধব পুলিশিং বাস্তবে পরিণত হয় এবং তা শুধু কাগজে-কলমে না থাকে।

উপদেষ্টা যোগ করেন, বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় ছিল পুলিশ যত দ্রুত সম্ভব আগের রূপে ফিরে যেতে পারে এবং সকলের
প্রত্যাশা অনুযায়ী জনবান্ধব পুলিশ হয়ে উঠতে পারে।
তথ্যসূত্রঃ ডেইলিসান থেকে সংগৃহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *