ছবি: অনলাইন থেকে সংগৃহীত
খালি পেটের কারণে মেজাজ খারাপ হওয়াকে বলা হচ্ছে ‘হ্যাংগ্রি’
মানুষের মন মেজাজের ওঠা-নামা নানান কারণে করতে পারে। এরমধ্যে একটি কারণ হল পেটে খিদা।
এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চ্যাপেল হিল’য়ের ‘ইউনিভার্সিটি অফ নর্থ ক্যারলিনা’র গবেষকরা
জানিয়েছেন ক্ষুধায় মেজাজ খারাপ হওয়ার কারণ হতে পারে একটি জটিল আবেগতাড়িত ব্যাপার; যার
সঙ্গে জড়িত থাকে জীববিজ্ঞান, ব্যক্তিত্ব ও পরিবেশগত বিভিন্ন বিষয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, একজন ক্ষুধার্ত ব্যক্তি যখন নিজের অনুভূতির প্রতি মনযোগী থাকেন না তখন
তিনি মানসিক চাপ, ঘৃণা ইত্যাদি নেতিবাচক আবেগ বেশি মাত্রায় অনুভব করেন।
প্রধান গবেষক, ‘ইউনিভার্সিটি অফ নর্থ ক্যারোলিনা’র জেনিফার ম্যাককরম্যাক বলেন, “ক্ষুধা মন-
মেজাজ এবং আশপাশের পরিবেশ সম্পর্কে আমাদের মনোভাবকে প্রভাবিত করে, বিষয়টি নতুন নয়।
নতুন ঘটনা হল, ইংরেজি শব্দ ‘হ্যাংগ্রি’, যার অর্থ হল ক্ষুধার্ত অবস্থায় মেজাজ খারাপ হওয়া, তা
অক্সফোর্ড ডিকশনারিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।”
ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া দুইশ শিক্ষার্থীর ওপর এই গবেষণা করা হয়। অংশগ্রহণকারীরা না খেয়ে কিংবা
অনেকক্ষণ আগে খেয়েছেন এমন অবস্থায় কম্পিউটারে একটি একঘেয়ে কাজ করতে বলা হয়।
এই ‘কাজ’ এমনভাবে প্রোগ্রাম করা হয়েছে, যা কোনো জানান না দিয়েই ক্র্যাশ করবে আর সেটার দোষ
পড়বে অংশগ্রহণকারীদের ওপর।
এরপর তাদের নিয়ে যাওয়া হয় প্রশ্নোত্তর পর্বে, যা থেকে বোঝা যায় ক্ষুধার্ত অংশগ্রহণকারীরা মনে
করছেন তাদের নিয়ে গবেষকদের করা পরীক্ষাটি বেশি মূল্যায়ন নির্ভর অথবা কঠিন।
‘ইমোশন’ নামক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা পত্রে বলা হয়- এদের মধ্যে যারা নিজের আবেগ নিয়ে
চিন্তায় মগ্ন ছিল, এমনকি ‘হ্যাংগ্রি’ অবস্থায়ও, তাদের মধ্যে নেতিবাচক আবেগ লক্ষ্য করা যায়নি।
গবেষণায় সহ-লেখক ক্রিস্টেন লিন্ডকুইস্ট বলেন, “আমরা দেখেছি ক্ষুধার্ত অবস্থায় মেজাজ তখনই
খারাপ হয় যখন ক্ষুধার কারণে অস্বস্তি বোধ হয় এবং আশপাশের ব্যক্তি কিংবা পরিবেশকে সেই
অস্বস্তিটার কারণ মনে করে।”
ম্যাক’করম্যাক বলেন, “আমাদের মন, মেজাজ, আচরণ ইত্যাদির ওপর শারীর শক্তিশালী প্রভাব
খাটায়। যেমন- আমরা ক্ষুধার্ত নাকি পেট ভরা, ক্লান্ত নাকি চাঙ্গা, অসুস্থ নাকি সুস্থ এই বিষয়গুলোর
ওপর আমাদের মেজাজ অনেকাংশে নির্ভরশীল।”
তথ্যসূত্র: অনলাইন থেকে সংগ্রহীত