ছবি: অনলাইন থেকে সংগৃহীত
সুপিরিয়র কোর্টে লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি বিচ্ছেদের আবেদন করেন অভিনেতা ও পপ তারকা জেনিফার।
ঘর ভাঙছে হলিউডের আলোচিত তারকা দম্পতি জেনিফার লোপেজ ও বেন অ্যাফ্লেকের। বিয়ের মাত্র দুই বছরের মাথায়
বিচ্ছেদের আবেদন করেছেন লোপেজ।বিষয়টি নিয়ে অনেকদিন ধরেই চলছিল গুঞ্জন। অবশেষে তা সত্যি হয়েছে।
গত বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
বেনের মুখপাত্র তাৎক্ষনিকভাবে এএফপির মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি।জেনিফারের প্রতিনিধি এ বিষয়ে মন্তব্য
করতে অস্বীকার করেন।
সাবেক পপ তারকা থেকে অভিনেত্রী হয়ে ওঠা জেনিফারের (৫৫) এটি চতুর্থ এবং অস্কার বিজয়ী অভিনেতা-পরিচালক
বেনের (৫২) দ্বিতীয় বিয়ে।
সিনেমাটি দুর্বল অভিনয় ও স্ক্রিপ্টের জন্য ব্যাপক সমালোচিত হয়। ২০০২ সালে ‘গিগলি’ সিনেমার শুটিংয়ের সময়
বেনের সঙ্গে জেনিফারের পরিচয় হয়।
তারা ছিলেন হলিউডের সবচেয়ে আলোচিত জুটির মধ্যে অন্যতম। এক ট্যাবলয়েড পত্রিকা এই যুগলকে ‘বেনিফার’ (বেন
অ্যান্ড জেনিফার) নামে অভিহিত করে, যা বেশ জনপ্রিয় হয়। সে সময় তাদের প্রেম নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে।
তবে এর পরের বছর তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়।এরপর ২০০৩ সালে তাদের বাগদান হয়।
২০২১ সালের এপ্রিলে আবার তাদের প্রেমের খবর পাওয়া যায়।
‘আমরা যে দ্বিতীয় সুযোগটি পেয়েছি, তা নিঃসন্দেহে একটি অসাধারণ ভালোবাসার গল্প। ‘এ সময় এক সাক্ষাৎকারে
জেনিফার বলেন,
২০২২ সালের ১৬ জুলাই প্রথম বাগদান ভাঙার ১৭ বছর পর বিয়ে করেন বেন ও জেনিফার।
‘বিয়েটা করেই ফেললাম। ভালোবাসা সুন্দর। ভালোবাসা উদার। ২০ বছর পর আমাদের ভালোবাসা পরিণতি পেল।’বিয়ের পর
জেনিফার লোপেজ নিজের ওয়েবসাইটে লেখেন,
‘বেনিফার’ জুটিকে।বিয়ের পর একসঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যেত
গত বছর ৬০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে দুইজন যৌথ মালিকানায় লস অ্যাঞ্জেলসে একটি বাড়ি কেনেন।
সর্বশেষ চলতি বছরের শুরুর দিকে অনুষ্ঠিত গোল্ডেন গ্লোবে দেখা যায় তাদের।
এর পর থেকেই তাদের বিচ্ছেদের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। যদিও সেটা বরাবরই অস্বীকার করেছেন জে’লো নামেও পরিচিত
জেনিফার।
কয়েক মাস আগে বেনকে ছাড়াই ৫৫তম জন্মদিন পালন করেছেন জেনিফার লোপেজ। ভক্তরা লক্ষ্য করেন,মার্কিন
বিনোদন সংবাদমাধ্যম টিএমজি বলেছে, তারা তাদের দুইজনের নামে কেনা বাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছেন এবং বেন
অ্যাফ্লেক আলাদা বাসা ভাড়া নিয়েছেন।
তাদের সম্পর্কে টানাপড়েনের মূল কারণ ‘তারকা’ জীবন সম্পর্কে দুইজনের দৃষ্টিভঙ্গীতে আকাশ-পাতাল তফাৎ। পিপল
ম্যাগাজিন বলেছেন।
বেন অন্তর্মুখি ও নিজের মতো করে জীবনযাপনের দর্শনে বিশ্বাসী। এ কারণে এই দম্পতির দৈনন্দিন জীবন দুর্বিষহ
হয়ে ওঠে’, যোগ করেন তিনি।
তথ্যসূত্র: ডেইলি স্টার বাংলা