ছবি: অনলাইন থেকে সংগৃহীত
নায়িকা, নায়িকার মা-বাবা, বান্ধবী কে হবে, সেগুলোও তাঁরা বলে দিতেন,’ কথাগুলো বললেন ছোট পর্দার অভিনেতা শামীম হাসান
সরকার। ‘অস্থির একটা সময় পার করেছি আমরা। যেখানে সিন্ডিকেটের কারণে কাজের কোনো সুস্থ পরিবেশ ছিল না। আমাদের
কিছু শিল্পীর প্রভাব এতটাই বেড়েছিল যে তাঁরা একটি প্রোডাকশনের সবকিছু কন্ট্রোল করতেন।
সরকারের কিছুটা হলেও সমালোচনা হয়, এমন কোনো কিছুর আঁচ পেলেই সরে দাঁড়াতে হতো বা পরিবর্তন করে কাজ করতে হতো।
সম্প্রতি শেষ করেছেন টাকার গরম-এর শুটিং। তবে এখন আর সেই ভয় নেই। দীর্ঘ বিরতির পর অভিনয়ে ফিরেছেন এই অভিনেতা।
তিনি আরও জানান, একসময় কোন গল্পে কাজ করছেন, সেটা আগে ভাবতে হতো। গল্পে দুর্নীতিবাজ এক কর্মকর্তার পাশাপাশি
একজন সৎ মানুষের গল্প দেখানো হয়েছে।
‘স্বাধীনভাবে যখন কথা বলতে পারছি, তখন আমাদের বিনোদন অঙ্গনেও শৃঙ্খলা ফেরাতে সিন্ডিকেট নির্মূল করতে হবে শামীম
বলেন,। এই সিন্ডিকেটে থাকা কিছু অভিনয়শিল্পী নির্মাণ ব্যয় পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করেন।’ এই সিন্ডিকেট নাটকের
ইন্ডাস্ট্রিকে নষ্ট করে ফেলছে। সিন্ডিকেটের কাছে আমাদের অনেক পরিচালক, প্রযোজক, অভিনয়শিল্পী, টেকনিক্যাল টিম
জিম্মি।
শামীম মনে করেন, নাট্যাঙ্গনে যাঁর যে কাজ, তাঁকে সেটাই করতে হবে। সংস্কারের এই সময়ে টেলিভিশন নাট্যাঙ্গনেও সংস্কার
জরুরি বলে মনে করেন। প্রভাব খাটানো থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তাঁর ভাষায়, ‘শিল্পীদের জিম্মি করা এই সিন্ডিকেট অনেকের
ক্যারিয়ারে ক্ষতি করেছে। এদের বুঝতে হবে, এটা চাইলে আরও অনেক শিল্পীই করতে পারেন। কিন্তু এগুলো আমার সঙ্গে যায়
না। আমার সেই শিক্ষা আছে। শিডিউল নেই বলে জিম্মি করে পারিশ্রমিক বাড়ানো, এমন কৌশল থেকে বের হতেই হবে।’সংস্কারের
এই সময়ে টেলিভিশন নাট্যাঙ্গনেও সংস্কার জরুরি বলে মনে করেন। দীর্ঘ একটা সময় ধরে চলমান সিন্ডিকেটই এই সংস্কারের
অন্তরায়।
এখানে জোর করে, এর–ওর পেছনে লেগে কেউ টিকে থাকতে পারবে না। এখানে মেধাকে মূল্যায়ন করতে হবেই।’ সবশেষে তিনি
বলেন, ‘দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে, নাটকের ইন্ডাস্ট্রিও স্বৈরাচারমুক্ত হবে।’ এই অভিনেতার আশা, ‘এখন তরুণ
অভিনয়শিল্পীরা অনেকেই নিয়মিত হচ্ছেন। তাঁরা যথেষ্ট স্মার্ট। এই তরুণেরাই সংস্কার আনবেন। এটা সৃজনশীল কাজ।
শামীম হাসান সরকার ছাড়াও অভিনয় করেছেন তানিয়া বৃষ্টি।শহীদ উন নবী পরিচালিত ‘টাকার গরম’ নাটকে ।
তথ্যসূত্র: প্রথম আলো