নিজ শহরে শাকিরার সোনালি রঙের ‘বেলি ড্যান্স’ ভাস্কর্য

নিজ শহরে শাকিরার সোনালি রঙের ‘বেলি ড্যান্স’ ভাস্কর্য


ছবি: অনলাইন থেকে সংগৃহীত
লাতিন পপ গানের সফলতম গায়িকা শাকিরা ইসাবেল মেবারাক রিপল। তবে বিশ্বজুড়ে তার খ্যাতি শাকিরা নামেই। ফিফা
বিশ্বকাপের ‘ওয়াকা ওয়াকা’ হোক কিংবা নিজের মৌলিক ‘হিপস ডোন্ট লাই’র মতো গানে দুনিয়া মাতিয়েছেন তিনি। এখনও
চলছে তার গানের ঝোড়ো জার্নি।
শাকিরাকে বলা হয় ‘কুইন অব ল্যাটিন মিউজিক’। মাত্র ১৩ বছর বয়সে সনি মিউজিক কলম্বিয়া থেকে তার সংগীতজীবনের
অভিষেক হয়। ২০০১ সালে ‘লন্ড্রি সার্ভিস’ অ্যালবামের মাধ্যমে ইংরেজি ভাষার গান করে তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিচিতি
পান।
সংগীত জগতে শাকিরার এই অসামান্য ভূমিকা এবং নিজ দেশের নাম বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার সুবাদে এবার তাকে
সম্মানিত করলো তার দেশ কলম্বিয়া। দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশের ব্যারেনকুলা শহরে জন্ম তার। সেখানেই বানানো হয়েছে
গায়িকার বিশাল এক ভাস্কর্য।
ব্যারেনকুলা একটি উপকূলীয় শহর। আর শাকিরার ভাস্কর্যটিও বানানো হয়েছে ক্যারিবিয়ান সাগরের তীরেই। জন্ম ও বেড়ে
ওঠার শহর থেকে এমন অসামান্য সম্মান পেয়ে আপ্লুত শাকিরা। একটি বার্তায় তিনি বলেন, ‘যে শহরে আমার জন্ম, সেই
ব্যারেনকুলা থেকে এই অবিস্মরণীয় স্বীকৃতি পেয়ে আমি সম্মানিত বোধ করছি। এ শহরের প্রত্যেকটি মানুষ আমার ভাই-বোন
এবং শৈশব থেকে আমার অনুপ্রেরণা।’ ৫২ বছর বয়সী এই ভাস্কর ৩৬ বছর ধরে ভাস্কর্য বানাচ্ছেন। গত জুন মাসে তাকে
ব্যারেনকুলা শহরের মেয়র জেইমি পুমারেজো ডেকে শাকিরার ভাস্কর্য বানানোর দায়িত্ব দেন।
এই ভাস্কর্যে শাকিরার চেনা বেলি ড্যান্সের সোনালি রঙের অবয়ব ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তার পরনে দেওয়া হয়েছে মেরুন
রঙের অন্তর্বাস ও স্কার্ট। ভাস্কর্যটি তৈরি করেছেন ইনো মারকুয়েজ। তিনি জানান, শাকিরা এবং সাধারণ মানুষ যেভাবে
ভাস্কর্যটি পছন্দ করছে, তাতে তিনি আনন্দিত।
শাকিরার গাওয়া তুমুল জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘ইনভিটেবল’, ‘হোয়েনএভার হোয়েনএভার’, ‘লা তোর্তুরা’, ‘হিপস
ডোন্ট লাই’, ‘বিউটিফুল লায়ার’, ‘ওয়াকা ওয়াকা’, ‘লোকা’, ‘ডেয়ার- লা লা লা’, ‘রাবিওসা’ ইত্যাদি।
তথ্যসূত্র: অনলাইন থেকে সংগ্রহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *