নিহত ১৮০ ফিলিস্তিনি যুদ্ধবিরতি শেষে ইসরাইলি হামলায়

নিহত ১৮০ ফিলিস্তিনি যুদ্ধবিরতি শেষে ইসরাইলি হামলায়

ছবি : ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত
যুদ্ধবিরতি শেষে গাজায় আবারও হামলা শুরু করেছে ইসরাইলি বাহিনী। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলের বিমান
হামলায় ১৮০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন এক হাজারের বেশি মানুষ। 
শুক্রবার ভোরের দিকে ইসরাইল বাহিনী এ হামলা শুরু করে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি মুক্তি সংগঠন হামাস।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান
হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরাইল। শুক্রবার ভোর থেকেই দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলে অনবরত
বোমাবর্ষণ শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। আকাশ ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছ, যুদ্ধবিরতির পর খান ইউনিস ও রাফা শহরসহ গাজার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চল লক্ষ্য
করে চলছে হামলা। পাশাপাশি দক্ষিণ গাজার কয়েকটি অঞ্চলে লিফলেট ফেলে ফিলিস্তিনিদের এলাকা ছাড়তে বলে
ইসরায়েল। প্রাণ বাঁচাতে স্থানীয় বাসিন্দারা পশ্চিমাঞ্চলে পালাতে শুরু করেছে। ভোর থেকেই গাড়িতে জিনিসপত্র
বোঝাই করে তারা রাস্তায় নেমে পড়ে।

ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, গাজা থেকে রকেট ছোড়া হয়েছিল এবং ক্ষেপণাস্ত্র সুরক্ষা
ব্যবস্থার মাধ্যমে সেই রকেট আঘাত হানার আগেই তা ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।
এই ঘটনার পর এক তাৎক্ষণিক বিবৃতিতে গাজায় ফের অভিযান শুরুর ঘোষণা দেয় আইডিএফ।
গাজার হামাস নেতৃত্বাধীন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উপত্যকার অন্তত ১০০টি স্থানে গোলা বর্ষণ করেছে
ইসরাইল।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে ঢুকে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। হামাসের হামলায় ১২০০ ইসরাইলির নিহত হয়।
ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। দখলদার ইসরাইলের হামলায় গাজায় নারী ও
শিশুসহ ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন।
হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দেয় দখলদার ইসরাইল। টানা হামলার
শিকার গাজায় খাবার, পানি, ওষুধ ও জ্বালানির সংকট দেখা দেয়।
প্রায় দেড় মাস সংঘাতের পর গত ২৪ নভেম্বর চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরাইল। এ
যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র। এর পর দুই দফায় বাড়ানো হয় সেই যুদ্ধবিরতির
মেয়াদ। যুদ্ধবিরতি চলাকালে মিশরের রাফা ক্রসিং দিয়ে কয়েকটি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢোকে উপত্যকায়।
যুদ্ধবিরতি সাত দিনে হামাসের হাতে বন্দি ১১০ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ইসরাইলে বন্দি ২৪০ জন
ফিলিস্তিনিকেও মুক্তি দেওয়া হয়। নতুন করে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর আগেই শুক্রবার থেকে গাজায় ফের
হামলা শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী।

তথ্য সূত্র : অনলাইন থেকে সংগ্রহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *