বসের লাশ শৌচাগারে , খুনি কে?

বসের লাশ শৌচাগারে , খুনি কে?

ছবি: অনলাইন থেকে সংগৃহীত
গত মাসে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম অ্যামাজন প্রাইমে মুক্তি পায় সামজিদ পরিচালিত ছবিটি। এরপর বাংলাদেশেও ছবিটি নিয়ে চর্চা
হয়েছে অন্তর্জালে। কিন্তু কেন জনপ্রিয়তা পেল ছবিটি? পুলিশি তদন্ত নিয়ে গত কয়েক বছরে নির্মিত বেশ কয়েকটি মালয়ালম
সিনেমা জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কারণে সেই জনপ্রিয়তার ঢেউ এসে লেগেছে বাংলাদেশেও। সম্প্রতি এই
তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরেকটি নাম—‘গোলাম’।
এ ধরনের সিনেমা হয় সাধারণত তিন ধরনের—খুনি কে, কীভাবে খুন হয়েছে আর কেন খুন হয়েছে? তবে ‘গোলাম’ এই তিন প্রশ্নের
সমন্বয়। অর্থাৎ কে, কেন আর কীভাবে—এই ছবিতে সব প্রশ্নের উত্তরই খোঁজা হয়েছে।
ছবির গল্প একটি প্রযুক্তি কোম্পানিকে ঘিরে। রাশভারী বসকে নিয়ে কোম্পানিটির কর্মীরা তটস্থ থাকেন। হঠাৎই একদিন
দিনদুপুরে অফিসের বাথরুমে বসের লাশ পাওয়া যায়, দরজাও ভেতর থেকে বন্ধ। তাহলে খুনি কে? তদন্ত করতে হাজির হয় পুলিশ।
অনেকেই মনে করেন, অ্যাজমার রোগী হয়তো পড়ে গিয়ে মারা গেছেন।
যাঁদের আগাধা ক্রিস্টি থেকে শুরু করে প্রচুর গোয়েন্দা গল্প পড়া আছে, তাঁদের জন্য হয়তো এই সিনেমা সেভাবে চমকে না–ও দিতে
পারে। তবে সারা গোয়েন্দা গল্প সেভাবে পড়েননি, বাইরের থ্রিলার সিনেমা সেভাবে দেখা হয়নি; তাঁরা ‘গোলাম’ দেখে মজা পাবেন।
তদন্ত করতে গিয়ে তিনি আবিষ্কার করেন, শহরের এক চিকিৎসকের কাছে কোম্পানির সব কর্মীরা নিয়মিত চিকিৎসা নেন!
কারণ খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ভয়াবহ তথ্য। ধীরে ধীরে উন্মুক্ত হয় খুনের রহস্যও।
ভেজাল ওষুধসহ সামাজিক বিষয় নিয়ে ছবিতে বক্তব্য আছে, এটিও ছবিটির প্রতি সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করেছে। তাই প্রেম,
নায়ক-নায়িকা, গান—বলিউডের ছবির প্রথাগত ব্যাপারস্যাপার না থাকার পরও ছবিটি মানুষের মন ছুঁয়ে গেছে।
ছবিটি শেষ হয় বড় এক ধাক্কা দিয়ে, যা স্পষ্টত ‘গোলাম’-এর সিকুয়েলের ইঙ্গিতও দিয়েছে।
গত ৭ জুন ভারতের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। এটি নির্মাতা সামজিদের প্রথম ছবি। এতে অভিনয় করেছেন সানি ওয়রেন,
দীনেশ পোথান, সিদ্দিকী প্রমুখ।
তথ্যসূত্র: অনলাইন থেকে সংগৃহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *