বাংলাদেশের রপ্তানি কমে বেড়েছে রেমিট্যান্স

বাংলাদেশের রপ্তানি কমে বেড়েছে রেমিট্যান্স


ছবি: অনলাইন থেকে সংগৃহীত
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রপ্তানি আয়ে ভালো প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ। এপ্রিলে রপ্তানি আয়
বেশ কিছুটা কমে গেছে। এপ্রিলে ৩৯১ কোটি ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। যা গত বছরের একই সময়ের ৩৯৫
কোটি ৬০ লাখ ডলারের চেয়ে ০.৯৯ শতাংশ কম। তবে এ সময়ে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন
প্রবাসীরা, যা এর আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ২১.৩ শতাংশ বেশি। এর আগে মার্চ মাসে সব মিলিয়ে প্রবাসী আয়
এসেছিল প্রায় ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩০ লাখ ও ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার প্রবাসী আয় দেশে আসে।
তবে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে মোট রপ্তানি বার্ষিক ৩.৯৩ শতাংশ বেড়ে চার হাজার ৭৪৭
কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) এই হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে।

এদিকে চলতি অর্থবছরে ১০ মাসে তৈরি পোশাকের রপ্তানি ৪.৯৭ শতাংশ বেড়ে চার হাজার ৪৯ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ
সময় নিট পোশাক রপ্তানি থেকে আয় এসেছে দুই হাজার ২৮৭ কোটি ডলার। তবে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা কমলেও এ সময় প্রবৃদ্ধি
হয়েছে ৯.১১ শতাংশ। এ ছাড়া ওভেন পোশাক থেকে আয় এসেছে এক হাজার ৭৬১ কোটি ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০
শতাংশ কম। আর প্রবৃদ্ধি হয়েছে ০.০৩ শতাংশ।
বাংলাদেশের রপ্তানির ৮৫ শতাংশ অবদান রাখে তৈরি পোশাক। গত অর্থবছরের এই সময়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি ছিল তিন
হাজার ৮৫৮ কোটি ডলারের।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত তৈরি পোশাক, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, চামড়ার পাদুকা ও প্লাস্টিক
পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে। অন্যদিকে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল ও প্রকৌশল পণ্যের
রপ্তানি কমেছে। ফলে সামগ্রিক পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির হার কিছুটা কম।
রপ্তানিমুখী শিল্প সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ঈদের সময়ে কারখানাগুলোয় কার্যাদেশ কম এসেছে। এছাড়া লম্বা ছুটির কারণেও রপ্তানি
চালানের সংখ্যা কমেছে। এ কারণে পণ্যদ্রব্য রপ্তানি নিম্নমুখী হয়েছে, যা স্বাভাবিক।
এখন পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা বাংলাদেশকে প্রতিযোগিতাসক্ষম রাখতে সহায়তা করছে। তবে ২০২৬ সালে
স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হলে সেই সুবিধা আর থাকবে না।
ডব্লিউটিও’র ১৩তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের যৌথ ঘোষণা অনুযায়ী, এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও সংশ্লিষ্ট দেশগুলো তিন
বছর শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পাবে। এ সুবিধা আমদানি ও রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে।

তথ্যসূত্র: অনলাইন থেকে সংগৃহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *