আন্তর্জাতিক
ছবি অনলাইন থেকে সংগৃহীত
মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসবে বেস্ট অ্যাম্বাসেডর হিসাবে বাংলাদেশের নুসরাত জাহান নোহা প্রথম হয়েছে। তাছাড়া মালয়েশিয়ার সেগি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ উৎসবে বিশ্বের ১৮টি দেশকে হারিয়ে সেরা কস্টিউম (পোশাক শিল্প) ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় ও স্টল ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এ অর্জনে বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রশংসায় ভাসছেন দেশটিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।
উৎসবে প্রথম স্থান অর্জনের পুরস্কারটি সেগি ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশি স্টুডেন্ট অ্যাম্বাসেডর নুসরাত জাহান নোহার হাতে তুলে দেন সেগি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট সোসাইটি ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট এম্বার আহমেদ।
তবে গর্বের বিষয় হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট সোসাইটি ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশি একজন শিক্ষার্থী।
গত শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানী কুয়ালালামপুরের কোটাদামানসারা সেগি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মাল্টিপারপাস হলে বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, শ্রীলংকা, সুদান, পাকিস্তান, ইজিপ্ট, মোজাম্বিকসহ ১৮টি দেশের শিক্ষার্থীদের পতাকা উত্তোলন, দেশীয় পোশাক ও সংস্কৃতির ফ্যাশন শো এবং নৃত্য পরিবেশনের মধ্য দিয়ে উৎসবে এ জয় অর্জন করেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অভিনব পরিবেশনা মন কাড়ে দর্শক ও বিচারকদের। এ সময় দর্শক গ্যালারি থেকে ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো হল।
নৃত্যের মাধ্যমে আবহমান বাংলার চিত্র তুলে ধরা হয়। অল্প সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশের অপরূপ সৌন্দর্য ও মানুষের জীবনযাত্রার পরিবর্তন ভিনদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরতে সক্ষম হয়।
মালয়েশিয়ায় পড়াশোনার পাশাপাশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসবে বরাবর তাদের সাফল্য ধরে রাখায় ভিনদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বেশ কদর রয়েছে। এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে- এমনটি জানিয়েছেন সেগি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এদিকে আন্তর্জাতিক উৎসবে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা সেরা হওয়ায় সেগি ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশি স্টুডেন্ট অ্যাম্বাসেডর নুসরাত জাহান নোহা জানান, এ অর্জন শুধু আমাদের নয়, সমগ্র বাংলাদেশের অর্জন। ১৮টি দেশকে হারিয়ে বাংলাদেশ তিনটি ক্যাটাগরিতে জয় পেয়েছে, সত্যি আমরা গর্বিত। এতদিন আমাদের পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। আমরা ভিনদেশি শিক্ষার্থীদের মাঝে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উড়িয়েছি। আমরা খুব আনন্দিত।
পুরো অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (প্রেস) সুফী আব্দুল্লাহিল মারুফসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, মালয়েশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, শিল্পীসহ নানা শ্রেণি পেশার প্রতিনিধিরা। তাছাড়া বাংলাদেশি ফ্যাশানশো স্পনসর ছিলেন নিবিড় ফ্যাশন ও ফুড স্পনসর ছিলেন ভিআইপি পিঠান
তথ্যসূত্র অনলাইন থেকে সংগৃহীত