ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের নিয়ে অভিযোগ নিপুণের, নিপুণের দাবি- নির্বাচনে অনেক অনিয়ম ও
কারচুপির ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদি নির্বাচনের ফল বাতিল চেয়ে গতকাল
বুধবার নতুন নির্বাচন দাবি করে রিট করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নাসরিন আক্তার নিপুণ। রিটে মিশা-
ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রায় ১ মাস হতে চলল।
এর মধ্যে আপলি ও অভিযোগ করার সুযোগও তো ছিল। কিন্তু সেটি তিনি করেনি। এসব কথা বাদই দিলাম; নির্বাচন যে সুষ্ঠু
হয়েছে তা তো নিপুণ নিজ মুখেই স্বীকার করেছেন- এটা উপস্থিত সকলেই শুনেছেন। সে হাসিমুখে ফলাফল মেনে নিয়ে
আমাদের সঙ্গে অনেক আনন্দ-ফুর্তিও করেছেন। এতদিন পর এসে এসব কথা বলার মানে কী? আসলে সে কী চায়?’
ক্ষোভ নিয়ে অভিনেতা বলেন, ‘এর আগের নির্বাচনের কথাটাও একটু স্মরণ করিয়ে দিই আপনাদের। জায়েদ খান যখন
নির্বাচনে জয় লাভ করল (সাধারণ সম্পাদক পদে) তখনও সে (নিপুণ) এমন একটি কাজ করে ওকে ওর আসনেই বসতে দিল
না। এ নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে। আর এসব কর্মকাণ্ড দেখে সাধারণ মানুষজন হেসেছে। শিল্পীরা হলো সমাজের আইডল,
তাদের থেকে সাধারণ মানুষ ও ভক্তরা অনেক কিছু শিখে। আবার এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি, সমাজে আমাদের অবস্থানটা
কোথায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছে!’
মিশা বলেন, ‘তিনি নির্বাচন ঘিরে যেসব অভিযোগ এনেছেন, আমার কাছেও তো অনেক অনেক অভিযোগ আছে তার
বিরুদ্ধে। যার সাক্ষী-প্রমাণও আছে। সময়মতো তার কথা জবাব দেওয়া হবে।’
সঙ্গে তিনি এও জানান, নিপুণের অভিযোগের জবাব আদালতে মাধ্যমেই দেওয়া হবে।
এদিকে সদ্য নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ডিপজল বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে কথা বলার কোনো ইচ্ছে আমার নেই। তার
স্বাধীনতা আছে, সে তা প্রকাশ করেছে। আমরাও তার কথার জবাব একইভাবে দিতে চাই। আজ (বৃহস্পতিবার) আমরা
একটি সভা ডেকেছি। সেখানে এসব বিষয় নিয়েও কথা হবে। তখন বিস্তারিত জানাতে পারব।’
গত ১৯ এপ্রিল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
তথ্যসূত্র: অনলাইন থেকে সংগৃহীত