ছবি: অনলাইন থেকে সংগৃহীত
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (খুকৃবি)প্রতিষ্ঠার ৮ বছরেও স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি । স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় মাঠ ও
ল্যাবভিত্তিক পড়াশোনায় হচ্ছে সমস্যা। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমির স্থান সুপারিশ করা হলেও এখনও তা অর্থ মন্ত্রণালয়ের
অনুমোদনের অপেক্ষায়।
২০১৫ সালে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে প্রতিষ্ঠিত খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রম উদ্বোধন হয় ২০১৯ সালে। নগরীর
দৌলতপুরের মধ্যপাড়া ও মোল্লাপাড়ায় দুটি ভাড়া করা ভবনে পাঠদান এবং সোনাডাঙ্গার একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে
প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়। পরে দৌলতপুরে ছাত্রদের ও বয়রায় ছাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা হয় দুটি ভাড়া বাড়িতে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, ব্যবহারিক কাজের ক্ষেত্রে তারা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন ও যাতায়াতের ক্ষেত্রে ভোগান্তিতে পড়তে
হয়। কৃষি শিক্ষায় ব্যবহারিক পাঠের গুরুত্ব থাকলেও মাঠ ও ল্যাবের অভাবে শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শিক্ষা দিতে পারছেন
না শিক্ষকেরা।
মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রভাষক ড. বিদ্যুৎ মাতব্বর বলেন, ‘এত সীমাবদ্ধতার মধ্যেও তারা চেষ্টা করছে। কিন্তু
ল্যাবরেটরির যে সুবিধা সেটা থেকে এখনও অনেক শিক্ষার্থীই অনেক পিছিয়ে রয়েছে।’
বর্তমানে ৫টি অনুষদের আওতায় ৪৬টি বিভাগে ৫১০ জন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘একাডেমিক বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সমস্যা হচ্ছে বলে
আমার মনে হয় না। তবে ক্লাস–পরীক্ষা নেওয়ার জন্য যে অত্যাধুনিক ক্লাসরুম দরকার, ভালো পরিবেশ দরকার এক্ষেত্রে
আমার মনে হয় আমরা পিছিয়েই আছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল কাশেম বলেন, ‘টাকা বরাদ্দের জন্য সরকারের আসলে তো একটা
নিয়ম আছে। সেই টাকা পাওয়ার জন্য আমরা যাবতীয় ব্যবস্থা করছি।’
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য বিল পাবলা ও লতা পাহাড়পুর মৌজা থেকে ২৫০ একর জমি অধিগ্রহণের সুপারিশ
করা হয়েছে। প্রকল্প অর্থ মন্ত্রণালয়ে রয়েছে।
তথ্যসূত্র: অনলাইন থেকে সংগ্রহীত