ছবি: অনলাইন থেকে সংগৃহীত
আজ (১৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ব্যাংকের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ
আল মাসুদ এ তথ্য জানান। তিনি জানান, পাচার করা টাকা পুনরুদ্ধার কৌশলের অংশ হিসেবে এসব শেয়ার বিক্রি করা হবে। ব্যাংকটি
আইএফসি ও আল রাজি গ্রুপের মতো পুরনো বিদেশি শেয়ারহোল্ডারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদেরকে আবার বিনিয়োগ করতে
আমন্ত্রণ জানাবে
Islami Bank to sell S Alam’s stake as part of recovery strategy— অর্থাৎ এস আলমের শেয়ার বিক্রি করে টাকা আদায় করবে
ইসলামী ব্যাংক। দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রধান শিরোনাম এটি।
এতে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ইসলামী ব্যাংকের যেসব শেয়ার বাংলাদেশ ব্যাংক জব্দ করেছিল, সেগুলো
বিক্রি করে দেয়ার পরিকল্পনা করছে ইসলামী ব্যাংক। এই শেয়ারগুলোর বেশিরভাগই ছিল এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন। আর
এস আলমের শেয়ার বিক্রি করে ১০,০০০ কোটি টাকা আদায় করা হবে।
ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, ইসলামী ব্যাংকের বিনিয়োগ ও আমানতের মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকার ব্যবধান রয়েছে। এস
আলম গ্রুপের শেয়ার বিক্রি এবং নতুন শেয়ার ইস্যু করে এই ঘাটতি কমানো হবে।
এস আলম গ্রুপের কাছে মালিকানাধীন শেয়ারের ফেস ভ্যালু (অভিহিত মূল্য) ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে
(ডিএসই) প্রতিটি শেয়ারের দাম ৬০ টাকা হিসাবে এওবস শেয়ারের বর্তমান মোট বাজারমূল্য প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানান, ২০১৭ সালে দখলের পর ব্যাংকটির ঋণের ৮০ শতাংশ নিয়েছে এস
আলম।
তথ্যসূত্র: অনলাইন থেকে সংগৃহীত