ছবি: অনলাইন থেকে সংগৃহীত
অস্কার একাডেমি কর্তৃপক্ষ তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, আগামী ৯৭তম অস্কারে চীন প্রতিযোগিতা করার
যোগ্যতা হারিয়েছে। লি ফাঙ, মিং ফান ও লিলি গঞ্জের পরিচালনায় ‘দ্য সিংকিং অব দ্য লিসবন মারু’ সিনেমাটি চীনের
পক্ষ থেকে সব নিয়ম মেনেই পাঠানো হয়েছে।
এবারই প্রথম চীন থেকে ‘বেস্ট ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম’ শাখায় তথ্যচিত্র পাঠানো হয়। চীনের পক্ষ থেকে সব
নিয়ম মেনে সিনেমাটি পাঠানো হলেও একাডেমি কর্তৃপক্ষ তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, আগামী ৯৭তম অস্কারে চীন
থেকে প্রতিযোগিতা করার যোগ্যতা হারিয়েছে (ডিসকোয়ালিফায়েড) ‘দ্য সিংকিং অব দ্য লিসবন মারু’ তথ্যচিত্র। এটি
পরিচালনা করেছেন লি ফাঙ, মিং ফান ও লিলি গঞ্জ ।
কিন্তু ঝামেলাটা হয় এখানেই। চীনের তথ্যচিত্রটিতে ৫০ ভাগের বেশি সংলাপ ইংরেজিতে সাজানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি অক্টোবরের দুই তারিখ ছিল অস্কারে সিনেমা জমা নেওয়ার শেষ সময়। ‘দ্য সিংকিং অব দ্য লিসবন
মারু’ সিনেমাটি অস্কারের প্রাথমিক পর্যায়ের বাছাই থেকে বাতিল হলেও ডকুমেন্টারি ফিচার ক্যাটাগরিতে
প্রতিযোগিতার জন্য বিবেচিত হবে। সেই সঙ্গে অস্কারে আরও আটটি শাখার জন্য বিবেচিত হবে।
একাডেমি কর্তৃপক্ষ জানায়, নিয়ম অনুযায়ী আন্তর্জাতিক শাখার জন্য প্রতিটি দেশ থেকে একটি সিনেমা জমা নেওয়া
হয়। তবে নিয়মে বলা হয় যে সিনেমাগুলো ‘বেস্ট ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম’ শাখায় জমা দেওয়া হবে। সিনেমা যে
দেশের প্রতিনিধিত্ব করবে, অবশ্যই সেই দেশের ভাষায় হতে হবে। প্রয়োজনে ইংরেজি বা বিদেশি ভাষা থাকতে পারে
তবে সেটা ৫০ ভাগের কোনোভাবেই বেশি হওয়া যাবে না। এখানেই বিপত্তি ঘটে চীনের তথ্যচিত্রটিতে। এতে ৫০ ভাগের
বেশি সংলাপ ইংরেজিতে।
এ বছরেই সাংহাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘দ্য সিংকিং অব দ্য লিসবন মারু’র প্রিমিয়ার হয়।
প্রসঙ্গত, এর আগে চীন দুবার আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্ম বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছিল। কিন্তু কোনো অস্কার
জেতেনি এখন অব্দি।
উল্লেখ্য, আগামী ১৭ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হবে অস্কার শর্টলিস্ট। এরপর আগামী বছর মার্চের ৩ তারিখে বসবে
অস্কারের মূল আসর।
তথ্যসূত্র: অনলাইন থেকে সংগৃহীত