ছবি: অনলাইন থেকে সংগৃহীত
আশপাশে অসংখ্য মানুষ। কেউ ছবি তুলছে, কেউ আবার শেষবারের মতো একটু ছুঁয়ে দেখতে
চাইছে। তবে শোকে পাথর হয়ে গেছে সামনে থাকা দুজন। একজন জীবন চলার সঙ্গী। অন্যজন
জন্মদাতা পিতা।
লাশটি আলজাজিরার টেলিভিশন নেটওয়ার্কের সাংবাদিক হামজা ওয়ায়েল আল-দাহদৌহর।
রোববার রাফাহ অঞ্চলে বিমান হামলায় নিহত হন তিনি।
এক হাতে মৃত ছেলের হাত চেপে নিথর দেহে দাঁড়িয়ে আছে বাবা ওয়ায়েল আল-দাহদৌহ। রক্তমাখা
অন্য হাতে সান্ত্বনা দিচ্ছে পুত্রবধূকে। নিহতের বাবা নিজেও সাংবাদিক। গাজায় আলজাজিরার ব্যুরো
চিফ। যুদ্ধের প্রথম দিকেই নিজের স্ত্রীসহ হারিয়েছেন আরও দুই সন্তানকে।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার সংবাদ সংগ্রহের কাছে মিসর সীমান্তবর্তী রাফাহে
গিয়েছিলেন হামজা। তার সঙ্গে গিয়েছিলেন ভিডিও সাংবাদিক মোস্তফা তুরিয়া। তারা দুজনে একটি
গাড়িতে ছিলেন—এই অবস্থায় ইসরাইলি বোমা তাদের গাড়িটিতে আঘাত হানলে তারা নিহত হন।
আলজাজিরা জানিয়েছে, যে এলাকায় অর্থাৎ রাফাহের আল-মাওয়াসি এলাকায় ইসরাইল ঘোষিত
‘নিরাপদ এলাকা’ বা সেফ জোনে অবস্থান করছিলেন হামজা ও মোস্তফা। জীবিত একমাত্র বড়
ছেলেকে হারিয়ে মুষড়ে পড়েছেন ওয়ায়েল আল-দাহদৌহ। হামজার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে তার পরিবারের
প্রায় সবাই নিহত হলো।
তথ্যসূত্র: অনলাইন থেকে সংগ্রহীত