ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে বেথলেহেমে বড় দিনের সব অনুষ্ঠানবাতিলের ঘোষণা

ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে বেথলেহেমে বড় দিনের সব অনুষ্ঠান বাতিলের ঘোষণা


ছবি : ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত

গাজায় চলমান ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে যিশু খ্রিস্টের জন্মভূমি হিসেবে বিবেচিত বেথলেহেমে বড়দিনের কোনো
ধরনের উৎসব আয়োজন না করার ঘোষণা দিয়েছিল ফিলিস্তিনি খ্রিস্টানরা। তারা গাজার মানুষদের প্রতি সংহতি জানানোর
ঘোষণাও দেন।
তাই বেথলেহেমে এবার বড় দিনের কোনো গণ-আয়োজন নেই। তারা এবার বড়দিনের আলোকসজ্জার কোনো প্রস্তুতি নেননি।
ক্রিসমাস ট্রিতেও সাজানো হচ্ছে না বেথলেহেমের অলিগলি।
গাজায় ইসরায়েল অনবরত হামলা চালাচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ মরছে। বোমায় চুরমার হয়ে যাচ্ছে গাজাবাসীর বাড়িঘর।
বেথলেহেমর যাজক মান্থার আইজাক বলেছেন, ‘এটা উন্মাদের কাণ্ড। ’ ‘এটা গণহত্যায় পরিণত হয়েছে। ১৭ লাখের বেশি
মানুষ বাস্ত্যুচ্যুত। ’
আইজ্যাক ছোট একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে ওয়াশিংটনেও গিয়েছিলেন গাজার যুদ্ধবিরতি স্থায়ী করার জন্য।
তিনি মার্কিন আইনপ্রণেতা ও ধর্মীয় নেতাদের কাছেও যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো
বাইডেনের কাছে একটি চিঠিও দিয়েছিলেন।
সেই চিঠিতে বলা হয়েছিল, ‘ঈশ্বর রাজনৈতিক নেতাদের তাদের অবস্থানে বসিয়েছেন ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য। ভোগান্তির
শিকার মানুষদের সহায়তা করা এবং ঈশ্বরের শান্তি প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার হওয়ার জন্য। ’ ‘আমরা একটি স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদি
যুদ্ধবিরতি চাই।
অনেক হত্যা হয়েছে, ধ্বংসও যথেষ্ট হয়েছে। এবার থামুন। এটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এখানে নিশ্চয়ই ভিন্ন কোনো পথ
আছে। এটাই আমাদের এবারের বড়দিনের আহ্বান ও প্রার্থনা।
তথ্য সূত্র : অনলাইন থেকে সংগ্রহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *