উৎসবমুখর আয়োজনে উন্মুক্ত লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠা দিবস

উৎসবমুখর আয়োজনে উন্মুক্ত লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠা দিবস


ছবি অনলাইন থেকে সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন ‘উন্মুক্ত লাইব্রেরি’র প্রাঙ্গণে ‘বই হোক মুক্তির হাতিয়ার’ স্লোগানকে উপজীব্য
করে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গান, নাচ ও আবৃত্তিসহ নানা সাংস্কৃতিক আয়োজনে ‘উন্মুক্ত লাইব্রেরি
দিবস ১৪৩০’ উদযাপিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মঙ্গলগীত ও মঙ্গল নৃত্য পরিবেশিত হয়।
উন্মুক্ত লাইব্রেরি দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বেলা ১১টায় একটি র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে
উন্মুক্ত লাইব্রেরির সাংস্কৃতিক দল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কবিতা আবৃত্তি, একক ও দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন।
সন্ধ্যায় ছিল ব্যান্ড মিউজিকের আয়োজন।
সার্বিক বিষয়ে উন্মুক্ত লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা তানভীর হাসান সৈকত বলেন, আজ থেকে দুবছর আগে উন্মুক্ত লাইব্রেরি
প্রতিষ্ঠার ভাবনা যখন আসে, কখনো ভাবিনি যে উন্মুক্ত লাইব্রেরি আজ যে জায়গাটিতে দাঁড়িয়ে আছে সে জায়গায় যেতে
পারবে কিংবা যাওয়ার পথটি এত সহজ হবে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, যাদের জন্য কিংবা যাদের উদ্দেশ্যে উন্মুক্ত লাইব্রেরি
প্রতিষ্ঠা করা, তারা সবাই বিষয়টিকে ভালোভাবে গ্রহণ করেছে। আরেকটি বড় অর্জন আপনারা ইতোমধ্যে দেখেছেন যে,
প্রধানমন্ত্রী উন্মুক্ত লাইব্রেরির স্টল পরিদর্শনে এসেছেন। আমরা বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একদিন আমাদের উন্মুক্ত
লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে এসে উপস্থিত হবেন।
তিনি আরও বলেন, আজ আমরা উন্মুক্ত লাইব্রেরির দ্বিতীয় জন্মবার্ষিকী উদযাপন করছি। ভবিষ্যতে আমরা উন্মুক্ত
লাইব্রেরির ৫০তম জন্মবার্ষিকীও উদযাপন করতে পারবো বলে বিশ্বাস করছি। আজ উন্মুক্ত লাইব্রেরি হয়তো ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ফটকে রয়েছে। কিন্তু আমি স্বপ্ন দেখি একদিন উন্মুক্ত লাইব্রেরি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত
অঞ্চলের মানুষের কাছে ছড়িয়ে পড়বে।
উন্মুক্ত লাইব্রেরির দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের সার্বিক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উন্মুক্ত লাইব্রেরির সভাপতি সজীব
তালুকদার, সঞ্চালনা করেন উন্মুক্ত লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক মোছাদ্দেক বিল্লাহ।
২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ফটকে উন্মুক্ত লাইব্রেরি
প্রতিষ্ঠিত হয়। উন্মুক্ত লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার এ দিনটিকে উন্মুক্ত লাইব্রেরি দিবস হিসেবে উদযাপন করা হচ্ছে।
তথ্যসূত্র অনলাইন থেকে সংগৃহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *