ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত
চালু হলো তেজগাঁও থেকে এফডিসি গেট সংলগ্ন ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ডাউন র্যাম্প । এটি নগরবাসীর জন্য
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আগামী
বছরের মধ্যেই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ৩১টি র্যাম্প খুলে দেয়া হবে। সামগ্রিক কাজের অগ্রগতি ৭২ শতাংশের বেশি।
আগামী বছরের শুরুতে পুরো প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার এফডিসি সংলগ্ন র্যাম্প
উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় সড়ক পরিবহন ও মহা সড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিনুল্লাহ নূরী,
সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত খুলে দেয়া হয়েছিল। এবার কারওয়ান
বাজার অংশে র্যাম্প উন্মুক্ত হবার ফলে চলাচলের গতি বাড়বে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ঢাকা
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচলের সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। এর চেয়ে বেশি গতিতে যানবাহন
চলানো যাবে না। এক্সপ্রেসওয়েতে থ্রি-হুইলার, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল এবং পথচারী চলাচল করতে পারবে না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিআরটি প্রকল্পে আমাদের গাফিলতি নেই। ডিসেম্বরে বিশেষায়িত বাস চলে আসবে। এরপরই এ প্রকল্পের
সুফল পাবে মানুষ। কাজ হচ্ছে না, বলার সুযোগ নেই। ডিসেম্বরেই চালু হবে। তবে ভারত থেকে বিদ্যুৎচালিত বাস আনার
বিষয়ে আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে। তাদের নির্বাচনের কারণে দেরি হচ্ছে।
রমজানে ঢাকায় যানজট নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ইফতারের পরে তো যানজট থাকে না। রোজার মাসে কোনো কোনো সময়ে
যানজট হয়। সব সময় থাকে না। যানজট নিরসনে আমাদের সব পরিকল্পনা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। উত্তরা থেকে মতিঝিল
পর্যন্ত মেট্রো রেল চালু হওয়ায় সময় ও অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে। আরো পাঁচটি মেট্রো লাইন বাকি আছে। দুটির কাজ চলমান। এগুলো
শেষ হয়ে গেলে যানজটও ধীরে ধীরে কমে যাবে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। আর র্যাম্পসহ মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩
কিলোমিটার। পুরো উড়ালসড়কে ৩১টি স্থান দিয়ে যানবাহন ওঠা-নামার ব্যবস্থা আছে। এখন পর্যন্ত ৭২ দশমিক ৫১ শতাংশ
কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই প্রকল্প এই বছরের মধ্যে শেষ হবে না। সামনের বছরে পুরোটা খুলে
দেয়া হবে।
তথ্যসূত্র: অনলাইন থেকে সংগৃহীত