এ সময় টনসিল সমস্যা ও করণীয়

এ সময় টনসিল সমস্যা ও করণীয়

ছবি: অনলাইন থেকে সংগৃহীত
শীতে ঠাণ্ডা লাগা ও ঠাণ্ডাজনিত রোগ হওয়া খুবই স্বাভাবিক। এ সময় অনেকের টনসিলের সমস্যা দেখা দেয়। এটি সাধারণত
ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে হয়। প্রতি চার স্কুলশিশুর একজনের এ সমস্যা হতে দেখা যায়। এ সমস্যায় ওষুধ না
অস্ত্রোপচার, এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন অভিভাবকেরা। কোনো কোনো শিশু সারা বছর টনসিলের প্রদাহে বারবার ভোগে, স্কুল
কামাই হয়। এর স্থায়ী সমাধান আছে কি? আসুন, জেনে নিই এর চিকিৎসাপদ্ধতি ও জটিলতা সম্পর্কে।

ওষুধ ও নানা ধরনের ঘরোয়া পদ্ধতিতে টনসিলাইটিসের চিকিৎসা করা হয়। অস্ত্রোপচারও একটি পদ্ধতি।
-কুসুম গরম পানিতে লবণ দিয়ে গড়গড়া করতে হবে প্রতিবার খাওয়ার পর।
-ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের জন্য ব্যবহৃত হয় অ্যান্টিবায়োটিক। ব্যথা কমাতে ব্যথানাশক ওষুধ বা প্যারাসিটামল দিতে হয়।
-সমস্যা দেখা দিলে স্কুলে না গিয়ে বিশ্রাম নিতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। এতে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়বে।
-গুরুতর বা বারবার টনসিলাইটিসের ক্ষেত্রে টনসিল অপারেশনের (টনসিলেক্টমি) প্রয়োজন হতে পারে।

কখন অস্ত্রোপচার
-টনসিল দেখতে টিউমারের মতো বড় হলে।
-বারবার টনসিলে প্রদাহ।
-টনসিল বড় হয়ে শ্বাসনালি ব্লক ও শ্বাস নিতে কষ্ট হলে।
-টনসিল দেখতে টিউমারের মতো বড় হলে।
-দীর্ঘস্থায়ী স্লিপ অ্যাপনিয়া বা নাক ডাকার সমস্যা।
অস্ত্রোপচারের পদ্ধতি
-টনসিলেক্টমি: সম্পূর্ণ টনসিল অপসারণ।

-এক্সট্রাক্যাপসুলার টনসিলেক্টমি: টনসিলকে একটি একক ইউনিট হিসেবে সরানো।

-কোল্ড ডিসেকশন: একটি তীক্ষ্ণ ব্যবচ্ছেদকৌশল, যা গোল্ড স্যান্ডার্ড হিসেবে বিবেচিত।

-আল্ট্রাসনিক বা হারমনিক ডিসেকসন: একটি স্ক্যাপেল ব্লেডে একই সময় টিস্যু কাটা ও জমাট বাঁধতে উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সিতে
কম্পন করা।
-বাইপোলার রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি অ্যাবলেশন: আণবিক বন্ধন ব্যাহত করার জন্য একটি আয়নযুক্ত লবণাক্ত স্তর তৈরি করা।

-এন্ডোস্কোপিক মাইক্রোডিব্রাইডার: টনসিল অপসারণের আরেকটি পদ্ধতি।

-ইউভুলো–প্যালাটোফ্যারিঙ্গোপ্লাস্টি: স্লিপ অ্যাপনিয়া ও নাক ডাকার চিকিৎসায় মুখ ও গলার পেছনের অতিরিক্ত টিস্যু
অপসারণ।
টনসিলে প্রদাহের জটিলতা
-বারবার অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে কোনো অ্যানাফাইল্যাকটিক প্রতিক্রিয়া বা অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতি অ্যালার্জি।
-অ্যাবসেস বা টনসিলের চারপাশে পুঁজ জমা।
-অস্ত্রোপচারের পর ইউভুলার (তালুর পেছনের অংশ) ফুলে যাওয়া।
-রিউমেটিক ফিভার।
-অস্ত্রোপচারের পর বা সংক্রমণের কারণে রক্তপাত।
-কিডনিতে সমস্যা।
-গলায় দীর্ঘমেয়াদি জ্বালা।
-হৃৎপিণ্ডে জটিলতা।

মনে রাখতে হবে, চিকিৎসা সময়মতো না করলে বা জটিলতা বাড়লে পরিস্থিতি আরও গুরুতর হতে পারে। যদি টনসিলের সমস্যা
বারবার হয়, নাক–কান–গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
তথ্যসূত্র: অনলাইন থেকে সংগৃহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *