ক্যানসার প্রতিরোধসহ ৫ গুণ কাঁচাহলুদের

ক্যানসার প্রতিরোধসহ ৫ গুণ কাঁচাহলুদের

ছবি: অনলাইন থেকে সংগৃহীত
হলুদ ক্যানসারের মতো প্রাণঘাতী রোগ দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে এক টুকরো কাঁচাহলুদ খাওয়ার ফলে ছোট-বড়
অসুখের আশঙ্কা কমে যায় বলে প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে জানা গেছে। হলুদ একটি মহৌষধি। প্রতিদিন সকালে এক টুকরো
কাঁচাহলুদ খাওয়ার ফলে ছোট-বড় অসুখের আশঙ্কা কমে যায় বলে প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে জানা গেছে। চলুন কাঁচা হলুদ
খাওয়ার কিছু উপকার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক—
১.কাঁচাহলুদ ক্ষতিকর পদার্থ বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে। বিপাকের পর আমাদের শরীরে তৈরি হয় একাধিক ক্ষতিকর পদার্থ। আর
এই পদার্থগুলো শরীর থেকে বেরিয়ে না যেতে পারলে একাধিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই কাঁচাহলুদ শরীরের
অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কাটানোর কাজে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গবেষণায় দেখা গেছে, এই প্রাকৃতিক উপাদান
কাঁচাহলুদ রোজ এক টুকরো খেয়ে নিলেই ক্ষতিকর ফ্রি ব়্যাডিকেলস নিউট্রিলাইজ করা সম্ভব। তাই সুস্থ থাকতে কাল থেকেই
কাঁচাহলুদ খান।
২. কাঁচাহলুদ ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। ক্যানসারের মতো প্রাণঘাতী একটি রোগপ্রতিরোধ করতে সাহায্য করে
কাঁচাহলুদ। কাঁচাহলুদে এমন কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ক্যানসার সেলের বৃদ্ধি আটকে দিতে পারে। তাই এই মরণঘাতী
রোগ আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচতে কাঁচাহলুদ খাওয়ার অভ্যাস করুন।
৩. কাঁচাহলুদ প্রদাহ থেকে মুক্তি মেলে। প্রদাহের মতো জটিল সমস্যার বিরুদ্ধে প্রথমেই ব্যবস্থা না নিলে পরবর্তী সময়ে তা
ভয়ানক হতে সময় লাগে না। এমনকি এ কারণে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে একাধিক ক্রনিক রোগ। তাই চিকিৎসকরা প্রদাহ প্রশমিত
করতে কাঁচাহলুদ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। গবেষণায় দেখা গেছে, কাঁচাহলুদের মূল উপাদান কারকিউমিন, যা প্রদাহ প্রশমিত
করার কাজে ভীষণ উপকারী।
৪. কাঁচাহলুদ আলঝেইমার প্রতিরোধ করে। আলঝেইমার একটি জটিল অসুখ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে
পড়ে। তিনি সব কিছু ভুলতে শুরু করেন। এ জটিল অসুখ প্রতিরোধের কাজেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কাঁচাহলুদ। তাই
প্রতিদিন কাঁচাহলুদ খাওয়ার অভ্যাস করুন।
৫. কাঁচাহলুদে হার্টের হাল ফিরবে। এখন তো কম বয়সেই অনেকে হার্টের জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। তাই চিকিৎসকরা
সবাইকে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। আপনার হাতের কাছে উপস্থিত এক টুকরো কাঁচাহলুদই
হার্টের খেয়াল রাখার কাজে একাই একশ। এতে উপস্থিত কারকিউমিন নামক উপাদান হার্টের ক্ষতি কমাতে পারে। তাই
হার্টঅ্যাটাকের ফাঁদ এড়াতে চাইলে প্রতিদিন সকালে কাঁচাহলুদ খাওয়া আবশ্যক।
তথ্যসূত্র: অনলাইন থেকে সংগৃহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *