ট্রাম্প-বাইডেনের বিতর্ক এত আগে কেন?


ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত

যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা চাপা দিতে পর্ণ তারকাকে ঘুষ প্রদান, নির্বাচনী ফলাফল পাল্টে দিতে জঘন্য অপকর্মে লিপ্তসহ নানা
অভিযোগে কাঠগড়ায় থাকায় ট্রাম্পকে কেন এত আগেই নির্বাচনী বিতর্কে আহ্বান জানালেন জো বাইডেন। তা নিয়ে চলছে
নানা রটনা।
১৫ মে বাইডেনের আহ্বানের পরই ডোনাল্ড ট্রাম্প সাড়া দেয়ার ঘটনা রাজনৈতিক অঙ্গনকেও চাঙ্গা করেছে।
নির্বাচনী পর্যবেক্ষকরা বলেছেন, সাম্প্রতিক প্রায় সকল জরিপেই ট্রাম্পের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছেন বাইডেন।

নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণের সুযোগ হারিয়ে ট্রাম্প যখন আদালতের কাঠগড়ায় সময় কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন, ঠিক তেমনি
সময়ে বাইডেন কর্তৃক বিতর্কে আহ্বানের কারণ কি হতে পারে? বিপুল অর্থ ব্যয়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিজ্ঞাপন প্রদান করেও
তেমন ফায়দা নিজের পক্ষে আসেনি বলেই কী এমন আয়োজন?
মামলার জালে জর্জরিত ট্রাম্পকে আরও নাজুক অবস্থায় নিপতিত করে নিজের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির কৌশল অবলম্বন করেছেন
বলে কোন কোন বিশ্লেষক মন্তব্য করছেন।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বেকার প্রধান দুই দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীরা সচরাচর সেপ্টেম্বরে টিভি বিতর্কে অবতীর্ণ হয়েছেন। কিন্তু এবারই
তা জুনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ২৭ জুন আটলান্টায় সিএনএন স্টুডিওতে বাইডেনের সাথে বিতর্কে অংশগ্রহণে সম্মতি দিয়েছেন
ট্রাম্প।

এ বিতর্কে দর্শক হিসেবে কেউ থাকবে না। মডারেটর থাকবেন এবং দু’জন বক্তব্য দেবেন। দ্বিতীয় বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে ১০
সেপ্টেম্বর এবিসি টিভির আয়োজনে। সেখানে অডিয়েন্স থাকবে কিনা তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, আগের বিতর্কসমূহ আয়োজকদের মধ্যে ‘বাইপার্টিসান কমিশন অন প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট’ ও থাকতো। অর্থাৎ
তৃতীয় বিতর্ক অনুষ্ঠিত হতো এই সংস্থার পক্ষ থেকে। কিন্তু এবার সেটি ঘটবে না বলেই শোনা যাচ্ছে।
সাম্প্রতিক কয়েকটি ইভেন্টে বাইডেনের মুখোমুখি হবার আগ্রহ প্রকাশ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে বাইডেন ট্রাম্পের সাথে বিতর্কে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত থাকার কথা উল্লেখ
করেন।
এরপরই ট্রাম্পের নির্বাচনী টিম তা সাদরে গ্রহণ করেন।

৮১ বছর বয়সী বাইডেনের সাথে ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্পের এ বিতর্কে আমেরিকানদের কৌতুহলের শেষ নেই। বাইডেনের
বয়স নিয়ে ইতিমধ্যেই ট্রাম্প নানা কটুক্তি ও তিরস্কার করেছেন।
বিতর্কের তারিখ চূড়ান্ত হবার পরই সিএনএন টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ মডারেটর হিসেবে জ্যাক ট্যাপ্পার এবং ডানা ব্যাশকে
দায়িত্ব দিয়েছে। ১৫ মার্চ থেকে ২০ জুনের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে পরিচালিত ৪টি অনুমোদিত জরিপে যেসব প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর
১৫% জনসমর্থন থাকবে তারাই অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন এই বিতর্কে। ইলেক্টরাল কলেজ ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবার
জন্য যথেষ্ঠ ব্যালটের সাপোর্ট পাবেন এবং বিতর্কের রীতি মেনে চলতে সম্মত থাকবেন- তিনিই যোগ্য হবেন বিতর্কে
অংশগ্রহণের।
এবিসি টেলিভিশন কর্তৃপক্ষও একই নীতি অনুসরণ করবে এবং তাদের বিতর্কে মডারেটর থাকবেন ডেভিড মুইর এবং লিনসে
ডেভিস। বিতর্কে অংশগ্রহণের প্রস্তাবিত এ রীতি অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রেসিডেন্ট প্রার্থী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রের ভাগ্যও
প্রসারিত হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তবে বাইডেনের উপদেষ্টারা সিএনএনকে জানিয়ে দিয়েছেন, কেবলমাত্র ট্রাম্পের সাথেই বাইডেন বিতর্কে অংশ নেবেন।
ট্রাম্পের পরামর্শ অনুযায়ী অক্টোবরে ফক্স নিউজের বিতর্কে বাইডেনের অংশ নেয়ার কোনই আগ্রহ নেই বলে বুধবার
অপরাহ্নে বাইডেনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

বাইডেনের নির্বাচনী টিমের চেয়ারম্যান জেন ও’ম্যালে ডিলন এ প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন খুবই
স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, শুধু ট্রাম্পের সাথে দুটি বিতর্কে অংশ নেবেন। এর বেশি কোন খেলায় নয়।

অপরদিকে, ট্রাম্পের নির্বাচনী টিমের একজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, বিতর্কে আর এফকে জুনিয়র থাকার প্রশ্নই উঠে না।
তথ্যসূত্র: অনলাইন থেকে সংগৃহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *