ছবি: অনলাইন থেকে সংগৃহীত
অতিবৃষ্টিতে নারায়ণগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আট কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগ
পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নারী, শিশু, অফিসগামী ও শিক্ষার্থীরা।
মহাসড়কের দুই পাশে যানবাহন আটকা পড়ায় বৃষ্টির মধ্যে অনেক অফিসগামীকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে যেতে
দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাতে প্রবল বর্ষণে মহাসড়কের কিছু অংশ তলিয়ে যাওয়ার পর যানজট শুরু হয়, ফলে
সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড়া থেকে বন্দরের কেওধালা পর্যন্ত আট কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
যানজটে আটকে পড়া একজন গফুর হোসেন জানান, অফিসে যাওয়ার জন্য সকাল ৭টার দিকে শনির আখড়া থেকে একটি
বাসে ওঠেন। বাসটি কাঁচপুর ব্রিজে পৌঁছতে পারে এবং তারপর দীর্ঘ টেইলব্যাকের কারণে আটকে পড়ে। “আজ আমি
অফিস মিস করেছি।”
সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ করেন আরেক যাত্রী
আবদুর রহিম।
“সকাল থেকে আমি যানজটে আটকা পড়েছি। আমি যে বাসে যাচ্ছি তা মৌচাক বাসস্ট্যান্ড থেকে কাঁচপুর ব্রিজে
পৌঁছাতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লেগেছে,” তিনি বলেন।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আবু নাঈম জানান, জলাবদ্ধ সড়কে কেওধালা ও লাঙ্গলবান্ধা এলাকায়
কিছু যানবাহন চলাচল ও বিপরীত দিক থেকে যানবাহন চলাচলের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়।
“আমরা ইতিমধ্যে মহাসড়ক থেকে কিছু যানবাহন সরিয়ে ফেলেছি এবং বাকিগুলি সরানোর চেষ্টা চলছে,” তিনি বলেন,
ভারী বৃষ্টির কারণে তাদের দায়িত্ব পালনে সমস্যা হচ্ছে।
যানজট নিরসনে বেশ কয়েকটি দল কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, শিগগিরই সড়কে স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে।
তথ্যসূত্রঃ ডেইলিসান থেকে সংগৃহীত