ছবি: অনলাইন থেকে সংগৃহীত
সোমবার (১ জানুয়ারি) প্রাথমিক পর্যায়ের বই উৎসবের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান শুরু হয় রাজধানীর মিরপুরে ন্যাশনাল সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে । বছরের প্রথম দিনে সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুরু হয়েছে বই উৎসব। প্রাথমিক ও ষষ্ঠ-সপ্তম
শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রথম দিনেই সব বই হাতে পাচ্ছে। তবে আংশিক বই দেওয়া হচ্ছে অষ্টম-নবমের শিক্ষার্থীদের। শুরুতেই
শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা একযোগে নতুন বই উঁচিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। শিক্ষার্থীদের
এমন আনন্দে অভিভাবকরাও দারুণ খুশি।
বই উৎসবের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। বিশেষ অতিথি
ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ
রেজওয়ান হায়াত।মাধ্যমিকের কোনো কেন্দ্রীয় আয়োজন না থাকলেও সারাদেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই উৎসবের
আয়োজন করা হয়েছে। স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উৎসবমুখর পরিবেশে বই বিতরণ চলছে। বিকেল পর্যন্ত বই বিতরণের কার্যক্রম
চলবে। সব শিক্ষার্থী বই হাতে ফিরবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানিয়েছে, প্রাক-প্রাথমিক থেকে সপ্তম শ্রেণির শতভাগ বই উপজেলায়
পৌঁছে দিয়েছেন তারা। উপজেলা শিক্ষা অফিস সমন্বয় করে বইগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চাহিদা মোতাবেক বিলি করছে। তবে
অষ্টম-নবমের ২০-২৫ শতাংশ বই এখনো ছাপা হয়নি। সেগুলো চলতি মাসেই ছাপা শেষে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া
হবে। ৯টি শ্রেণির মধ্যে এবার ৭টি শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমে লেখা বই দেওয়া হচ্ছে। সেগুলো হলো- প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়,
ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম। এসব বইয়ের পাণ্ডুলিপি নতুন করে লেখা। শুধু চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আগের
শিক্ষাক্রমের বই পাবে।
এনসিটিবির তথ্যমতে, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী সংখ্যা ধরা হয়েছে তিন কোটি ৮১ লাখ ২৭ হাজার ৬৩০ জন। তাদের জন্য
বই ছাপা হয়েছে মোট ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭টি। এর মধ্যে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর (পাঁচটি ভাষায় রচিত) শিশুদের জন্য
এবার মোট দুই লাখ পাঁচ হাজার ৩১ কপি বই ছাপা হয়েছে। এছাড়া পাঁচ হাজার ৭৫২ কপি ‘ব্রেইল’ বই আছে এবং শিক্ষকদের
৪০ লাখ ৯৬ হাজার ৬২৮টি ‘শিক্ষক সহায়িকা’ দেওয়া হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: অনলাইন থেকে সংগ্রহীত