নাগরিকদের হাইতি ত্যাগের নির্দেশ আমেরিকার

নাগরিকদের হাইতি ত্যাগের নির্দেশ আমেরিকার


তথ্যসূত্র অনলাইন থেকে সংগৃহীত

কারাগারে দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনার পরে হাইতিতে প্রধানমন্ত্রী-বিরোধী বিক্ষোভ আরও বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র দ্রুত তাদের সমস্ত নাগরিককে দেশটি ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে।
সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হাইতিতে তাদের দূতাবাস কেবলমাত্র অতি প্রয়োজনীয় কাজের জন্য খোলা
থাকবে।
অন্যদিকে, কানাডা জানিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে তারা দূতাবাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দূতাবাসের কর্মীদেরও ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে দেশে।
জাতিসংঘও হাইতির পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেছে। সেখানে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নিরাপত্তার বিশেষ দল আছে। তাদের
অর্থ বরাদ্দ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস নিজে হাইতির পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেছেন। দ্রুত পরিস্থিতির মোকাবিলা করা
প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে দেশটির পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। রবিবার কারাগারে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এরপর প্রায় চার হাজার কয়েদি পালিয়েছে।
সোমবার রাজধানীর রাস্তায় আগুন জ্বেলে পুলিশের সঙ্গে লড়াই করে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে হাইতির রাজপথ।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী এখনও গোপন আশ্রয়ে আছেন। তিনি কেনিয়ায় গিয়েছিলেন সাহায্য চাইতে।

কেনিয়ার সাহায্যে দেশের নিরাপত্তা রক্ষীর দলকে আরও মজবুত করতে চান তিনি। দেশে গ্যাং-লড়াইয়ের কথা আগেই
জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তিনি দেশে ফেরার আগেই ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে
একের পর এক হামলা চলছে। আগুন জ্বলছে।
এদিকে, গ্যাং লিডার জিমি চেরিসিয়ার জানিয়েছেন- যত দ্রুত সম্ভব প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। নইলে পরিস্থিতি
বদলাবে না।
উল্লেখ্য, হাইতির প্রধানমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, ফেব্রুয়ারিতে তিনি পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন এবং নির্বাচনের ব্যবস্থা
করবেন। কিন্তু বাস্তবে তিনি তা করেননি।

তথ্যসূত্র অনলাইন থেকে সংগৃহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *