ছবি: অনলাইন থেকে সংগৃহীত
চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববির নামে চুরি ও হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করার অভিযোগে গুলশান থানায় মামলা হয়েছে।
মামলা করেছেন মুহাম্মাদ সাকিব উদ্দোজা। এদিকে, ববিও পাল্টা মামলা দায়ের করেছেন।সোমবার (১ জুলাই)
মামলার সত্যতা স্বীকার করেন গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, এই মামলার দুই
নম্বর আসামি ববি, এক নম্বর আসামি মির্জা আবুল বাশার (৩৪)। তারাও পরে পাল্টা মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে সাধারণ ও গুরুতর জখম, চুরি, ক্ষতিসাধন ও ভয়ভীতি
প্রদর্শনের অপরাধ। পরে আরও বলা হয়েছে যে এ ঘটনায় ওয়াইএন সেন্টারের ক্ষতির পরিমাণ দেড় লাখ টাকা ও চোরাই মূল্য
এক লাখ টাকা, যা এখনো উদ্ধার হয়নি।
মামলার বাদী ছিলেন মুহাম্মাদ সাকিব উদ্দোজা ওয়াইএন সেন্টারের এজিএম। তিনি জানান, তাদের কাছ থেকে রেস্টুরেন্ট
ভাড়া নেন আমান নামের একজন। এটার অবস্থান গুলশান-২ এর ১১৩ নম্বর সড়কে। আমান অর্থনৈতিকভাবে পুষিয়ে
উঠতে পারছিলেন না। পরে ব্যবসায় তৃতীয় পক্ষ হিসেবে যুক্ত করেন আবুল বাশার ও চিত্রনায়িকা ববিকে। রেস্টুরেন্টের
জিনিসপত্র তারা কিনে নিয়েছেন। সেভাবেই চুক্তি করেন বলে জানান সাকিব।
এ ঘটনা নিয়ে ববির অপারেশন পার্টনার (সহযোগী) আবুল বাশার গণমাধ্যমে বলেন, ‘রেস্তোরাঁ করার জন্য আমরা চুক্তিবদ্ধ
হই। মূলত এটা ববির রেস্তোরাঁ হওয়ার কথা ছিল। আমি ছিলাম অপারেশন পার্টনার। ববির পক্ষ থেকে কাজ করতাম। মে
মাসের ভাড়াও দিয়েছি। আমাদের ইনভেস্টমেন্ট ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকার মতো হয়ে গেছে। এখন বিষয়টা দেখেন, যখন
ববি কোনো রেস্টুরেন্ট করবে, সেটার কাগজপত্র নিয়ে অনেকের আগ্রহ থাকবে। সেই কারণেই আমরা মালিকপক্ষের কাছে
পরে ভবনের বৈধতার কাগজ চাই। দিব দিব করে তারা ঢিলেমি করেন। এখান থেকেই ঝামেলা শুরু হয়।’
আবুল বাশারকে মারধর করা হয়েছে, তার ভিডিও রয়েছে। এ তথ্য উল্লেখ করে আবুল বাশার বলেন, ‘অনেক বলার পরও
বৈধ কাগজ দেন নাই। পরে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেন। তা ছাড়া ফায়ার এক্সিট নাই। এটা–সেটা নিয়ে ঝামেলা করেন। একদিন
গিয়ে দেখি, আমাদের জিনিসপত্র সব বাইরে ফেলে রেখেছেন। এর প্রতিবাদ করতে গেলে উল্টো আমাকে মেরে তারা নাটক
সাজান। আমার কাছে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ রয়েছে। যারা আমাকে মেরেছেন, তারা সবাই ওই ভবনে থাকে। বাধ্য হয়ে
মার খেয়ে চলে আসি। আমি ছিলাম একা আর তারা ছিলেন ১৫ থেকে ২০ জন।’
ব্যবসার অংশ হিসেবে চুক্তিমতো আমানকে ৫৫ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। ববি ও বাশার প্রথমে ১৫ লাখ, পরে ১০ লাখ
টাকার চেক হস্তান্তর করেন। কিন্তু দুটি চেকই ডিজঅনার হয়। এই টাকা চাওয়া নিয়েই আমান ও বাশার-ববির সঙ্গে দ্বন্দ্ব
তৈরি হয়।
তথ্যসূত্র: অনলাইন থেকে সংগৃহীত