নারীরা পুরুষের তুলনায় বেশি কাঁদেন যে কারণে …

নারীরা পুরুষের তুলনায় বেশি কাঁদেন যে কারণে …

ছবি: অনলাইন থেকে সংগৃহীত
কান্নারও যে কিছু শারীরিক উপকারিতা রয়েছে তা নিশ্চই জানা ছিলনা? মেডিসিন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন কাঁদলে কী ধরনের
উপকারিতা পাওয়া যায় সে সম্পর্কে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ব্যথা উপশম করে
কান্নাকাটি করার ফ‌লে শরীরে এন্ডোরফিন উৎপন্ন হয়, যা কিছু কিছু ব্যথাও উপশম করে। কান্নাকা‌টি আপনার
প্যারাসিমপ্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্রকেও সক্রিয় করে, যা শিথিলতা বাড়ায়, স্ট্রেস বা চাপ কমায় এবং ব্যথা উপশম করে।
চাপ প্রশমিত করে
কান্না কর্টিসলের মতো স্ট্রেস-সম্পর্কিত রাসায়নিকগুলো বের করে দেয়, যা আপনার শরীরকে ধু‌য়েমুছে ‌ডিট‌ক্সিফাই ক‌রে।
ফ‌লে মান‌সিক দু‌শ্চিন্তা দূর হ‌য়ে যায়। এনে দেয় প্রশান্তির ঘুম
অনেকক্ষণ ধ‌রে কান্নাকা‌টির ফ‌লে শরী‌রে বি‌ভিন্ন হর‌মোন নিঃসরণের পাশাপাশি প্রচুর শ‌ক্তি ক্ষয় হয়। মা‌ঝেমধ্যে
পা‌নির ঘাট‌তি দেখা দেয়। যার ফ‌লে ম‌াথা ঠান্ডা হ‌য়ে একধর‌নের প্রশা‌ন্তি বোধ কর‌বেন, এটা আপনাকে শান্তিপূর্ণ ও
নিরবচ্ছিন্ন ঘুম দি‌তে পারে। তাই ঘুমানোর আগে মা‌ঝেম‌ধ্যে একটু কান্নাকাটি করতেই পা‌রেন!

ব্যাকটেরিয়ার বিরু‌দ্ধে লড়াই করে
চো‌খের পা‌নি‌তে লাইসোজাইম নামক একধর‌নের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এনজাইম রয়েছে। লাইসোজাইম ক্ষতিকারক জীবাণু
ধ্বংস করে আপনার চোখকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা ক‌রে।
প্রশান্তি এনে দেয়
চিৎকার ক‌রে বা নীর‌বে—যেভাবেই কান্নাকা‌টি করুন না কেন, দেখ‌বেন আপনার মন কিছুটা হালকা লাগ‌ছে। কারণ, কান্না
আপনা‌কে প্রশান্তি দি‌তে পা‌রে। কান্না আমা‌দের প্যারাসিমপ্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় করে।
যা স্নায়ু শিথিলীকরণের জন্য দায়ী বিভিন্ন হরমোনের নিঃসরণ, হজম ও সেরে ওঠার স‌ঙ্গে জ‌ড়িত। কান্নার ফলে এন্ডোরফিন
বা ‘সুখী হরমোন’ নিঃসৃত হয়, যা প্রশান্তির অনুভূতি তৈরি ক‌রে।
সামাজিক বন্ধন
কান্নার মাধ্যমে অন্যদের কাছে আমাদের সমর্থন, সহানুভূতি, সান্ত্বনা প্রকাশ কর‌তে পা‌রি। এতে সামাজিক বন্ধন
শক্তিশালী হয়।
ত‌বে আপনি যদি প্রায়ই কান্নাকাটি করেন আর এটি যদি আপনার দৈনন্দিন জীবনকে ব্যাহত করে বা উদ্বেগের কারণ হয়,
তাহলে একজন মনো‌বি‌দের শরণাপন্ন হ‌তে পারেন।
তথ্যসূত্র: অনলাইন থেকে সংগৃহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *