ছবি: অনলাইন থেকে সংগৃহীত
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ মহিব্বুর রহমান রোববার বলেছেন, প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল আজ মধ্যরাত নাগাদ
বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূল ও ভারতের কিছু অংশে আঘাত হানতে পারে বলে আট লাখেরও বেশি মানুষ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে
আশ্রয় নিয়েছে।
“আমাদের কাছে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত আট লাখেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। যেহেতু মহা বিপদ সংকেত জারি করা
হয়েছে, আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য বলেছি,” তিনি ঢাকায়
সচিবালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেন।
দেরি না করে সবাইকে সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিতেও অনুরোধ করেন প্রতিমন্ত্রী। “আমরা [উপকূলীয় এলাকায়] ৮,০০০-
৯,০০০ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করেছি। পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, পানি ও চিকিৎসা সামগ্রীও সেখানে পাঠানো হয়েছে।”
এছাড়াও, সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসাবে প্রস্তুত করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সাথে জড়িতদের
উচিত লোকদের আশ্রয় নিতে সহায়তা করা, তিনি যোগ করেন।
এদিকে প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাসহ সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তরের কর্মকর্তা-
কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করেছে সরকার।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) পায়রা ও মংলা সমুদ্র বন্দরের জন্য মহা বিপদ সংকেত ১০ এবং কক্সবাজার ও
চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের জন্য ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করেছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ
আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: অনলাইন থেকে সংগৃহীত