ছবি: অনলাইন থেকে সংগৃহীত
অভিনয়জীবনে দুই দশকের বেশি সময় পার করলেও প্রথমবারের মতো র্যাম্পে হাঁটার অভিজ্ঞতা হলো অভিনেত্রী রুনা খানএর। প্রথমবারের মতো র্যাম্পে হেঁটে ভীষণ উচ্ছ্বসিত এই অভিনয়শিল্পী।
রাজধানীর গুলশানের আলোকি সেন্টারে গত শনিবার শেষ হয়েছে দেশের ফ্যাশন অঙ্গনের অন্যতম বড় ইভেন্ট ‘খাদি ফ্যাশনউইক’। দেশি-বিদেশি ডিজাইনারের পোশাক নিয়ে সেখানে ফ্যাশন কিউ প্রদর্শিত হয়েছে। ফ্যাশন শোটি কোরিওগ্রাফ করেছেনদেশের জনপ্রিয় মডেল ও গ্রুমার আজরা মাহমুদ। দেশের প্রথম সারির র্যা ম্প মডেলদের পাশাপাশি শেষ দিনে চমক ছিলফ্যাশন ডিজাইন কাউন্সিল অব বাংলাদেশের সভাপতি ও আইকনিক ফ্যাশন ডিজাইনার মাহিন খানের ফ্যাশন কিউ। শো-স্টপার হিসেবে হাজির করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী রুনা খানকে। গতকাল দুপুরে প্রথম আলোর সঙ্গে রুনাখানের কথা হয়। নতুন অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে রুনা বললেন, ‘খাদি ফেস্টিভ্যালে হাঁটলাম। আমাদের দেশি পণ্য, দেশিঐতিহ্য, বেশির ভাগ ডিজাইনার আমাদের দেশি। মাহিন আপার ডিজাইন করা পোশাকে শো স্টপার হয়ে কাজ করার সুযোগপেলাম। মনে হয়েছে, এটা আমার জন্য শুধু সুযোগ নয়, সম্মানেরও। আমার সঙ্গে আফরোজা পারভীন আপা (বিউটিশিয়ান)
যোগাযোগ করেন। তিনি পুরো ব্যাপার আমাকে বুঝিয়ে বলেন। মাহিন আপাও আমাকে বারবার বলেছিলেন, “মডেল হিসেবেতোমাকে দেখতে চাই না, তুমি যা, তা–ই দেখতে চাই। রুনা খানের ব্যক্তিত্ব এখানে দেখতে চাই। তুমি যেভাবে হাঁটো,সেভাবেই হাঁটবে, মডেলদের মতো নয়।” শেষ পর্যন্ত তো আমার দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে।’
র্যাম্প ছিলেন রুনা খানের একমাত্র মেয়ে রাজেশ্বরী। সে প্রসঙ্গও উঠে এল কথায়। তিনি বললেন, ‘আমার মেয়ে তো ভীষণখুশি, ভীষণ গর্বিত তার মাকে এভাবে দেখে। এটা আমার জন্যও খুব আবেগের ব্যাপার ছিল। কাজটা এত বেশি উপভোগকরেছি, ভবিষ্যতেও এ রকম সম্মানজনক সুযোগ পেলে আরও করব।’
তথ্যসূত্র: অনলাইন থেকে সংগ্রহীত