বসেছে ২১টি স্প্যান, তিস্তা সেতুর অনেকটাই আজ দৃশ্যমান

বসেছে ২১টি স্প্যান, তিস্তা সেতুর অনেকটাই আজ দৃশ্যমান

ছবি: অনলাইন থেকে সংগৃহীত
গাইবান্ধা: তিস্তায় হবে সেতু। গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের লালিত এ স্বপ্ন
বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে।

সেই চিরচেনা লঞ্চ-স্টিমার কিংবা প্রকট শব্দের স্যালো ইঞ্জিন চালিত নৌকায় বসে নয়, নয় ঘণ্টার
পর ঘণ্টা অপেক্ষা। শিগগিরই চোখের পলকে পার হওয়া যাবে তিস্তা নদী।
তিস্তা নদীর দুপারের বাসিন্দাদের যেন আর তর সইছে না।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ অংশের হরিপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রকল্প বাস্তবায়নে দিন-রাত কাজ
চলছে। সেখানে সেতুর একেকটি স্প্যান এলাকার প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন পূরণের পথে একেকটি সিঁড়ি।
নির্ধারিত ৩১টি স্প্যানের মধ্যে বসেছে ২১তম স্প্যান। ফলে অনেকটাই দৃশ্যমান তিস্তা সেতু।

স্থানীয়রা জানান, সেতুটি চালু হলে কুড়িগ্রাম, উলিপুর, নাগেশ্বরী, ভুরাঙ্গামারী ও চিলমারী থেকে
সড়কপথে ঢাকার দূরত্ব কমে আসবে ১৩৫ কিলোমিটারের মতো। দূরত্ব কমবে বিভাগীয় শহর রংপুরেরও।
ফলে স্থানীয় জনজীবনে মিলবে কাঙ্ক্ষিত গতি। বহুমুখী কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে পাল্টে যাবে এ
অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা, ঘটবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন।

তারা আরও জানান, বর্তমানে নদীর এপার-ওপার যাতায়াত করতে নৌকায় দুই ঘণ্টার বেশি সময় লাগে।
এছাড়া সিরিয়ালের জন্য বসে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। সেই সঙ্গে রয়েছে রোদে পোড়া-বৃষ্টিতে
ভেজাসহ নৌকা ডুবিতে প্রাণ-সম্পদ হারানোর শঙ্কা। কিন্তু সেতুটি চালু হলে ১০ মিনিটে ওপার থেকে
এপারে আসা-যাওয়া করা যাবে। ফলে দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘবের পাশাপাশি নদীর দুপারের জনজীবনে
মিলবে অর্থনৈতিক মুক্তি।

গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাবিউল ইসলাম জানান, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ অংশের
হরিপুর থেকে কুড়িগ্রামের চিলমারী পর্যন্ত তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত হচ্ছে সেতুটি। যা এলজিইডির
মাধ্যমে বাস্তবায়িত দেশের প্রথম দীর্ঘতম সেতু। সেতুটির দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৪৯০ মিটার। এতে বসানো
হবে সর্বমোট ৩১টি স্প্যান। যার ২১টি বসানো হয়েছে। আসামি মাসের ৩/৪ তারিখে আরও একটি
স্প্যান বসানোর কথা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, সেতুর উভয় পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে ৮৬ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৭৬
কিলোমিটার গাইবান্ধা অংশে। বাকিটা কুড়িগ্রাম অংশে।

এছাড়া দুই তীড়ে স্থায়ীভাবে নদী শাসন করা হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার। যা নদীভাঙন রোধে বিশেষ
অবদান রাখবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। পরে
নানা জটিলতা কাটিয়ে ২০২১ সালে শুরু হয় সেতুটির নির্মাণ কাজ। এটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৩০ কোটি ৮৫
লাখ টাকা। ২০২৪ সালের জুন মাসে প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা।`

তথ্যসূত্র: অনলাইন থেকে সংগৃহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *