বিপাকে নিম্নআয়ের মানুষ বেড়েছে শীতের তীব্রতা

বিপাকে নিম্নআয়ের মানুষ বেড়েছে শীতের তীব্রতা


ছবি: অনলাইন থেকে সংগৃহীত
আবারও ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামল তাপমাত্রা। এ ছাড়া মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীত আর কুয়াশায়
বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। তাপমাত্রা বিবেচনায় মেহেরপুরে শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও কনকনে ঠাণ্ডা
জবুথবু অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে শ্রমজীবী মানুষের। মৃদু বাতাস আর কনকনে ঠাণ্ডায় শীতের তীব্রতা বাড়ছে
কয়েকগুণ।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জেলার
প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ আবহাওয়ার তথ্যটি নিশ্চিত
করেছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে
সকাল ৯টায় কিছুটা কমতে পারে তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।
গতকাল বুধবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। আবহাওয়া
তথ্যানুযায়ী, পঞ্চগড় গত ১৬ ডিসেম্বর থেকেই ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। গত ১৯
ডিসেম্বর রেকর্ড হয়েছিল ৯.৫, ১৮ ডিসেম্বর ৯.৭, ১৭ ডিসেম্বর ১০ ও ১৬ ডিসেম্বর ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস
তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে ২৫ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, সকাল ৭টা থেকেই দেখা মেলে সূর্যোদয়ের। সূর্যের কিরণে আলো ছড়ালেও রাত
থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত তাপমাত্রার পারদ কমে কনকনে ঠাণ্ডা বইতে থাকে। স্থানীয়রা জানান, বিকাল থেকে
হিমেল বাতাসে সন্ধ্যার পর থেকে শীতের মাত্রাটা বেশি বাড়ে এখানে। রাত বাড়তে থাকলে শীতও বৃদ্ধি পায়
অধিক হারে। তবে সকাল ১০টা থেকেই দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকছে।
চুয়াডাঙ্গায় রাত ও দিনের তাপমাত্রার মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য না থাকায় সবসময়ই শীত অনুভূত হচ্ছে। কনকনে
শীতে দিশাহারা মানুষ। বিশেষ করে পেশাগত কারণে রাতে যাদের কাজ করতে হয় তাদের দুর্ভোগ আরও বেশি।
এ বছর এখনো পর্যন্ত শীতবস্ত্র বিতরণের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্রের
ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
তথ্যসূত্র: অনলাইন থেকে সংগ্রহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *