ছবি: অনলাইন থেকে সংগৃহীত
জোসে মরিনিও মাকাল ফল নন। তিনি নাকি এই ফলের ঠিক উল্টো। মাঠের আচরণে তাঁকে বজমেজাজি মনে হলেও ড্রেসিংরুমে তিনি
একদম হাসিখুশি, নরম স্বভাবের মানুষ। এমনটাই দাবি করেছেন আর্জেন্টিনার সাবেক স্ট্রাইকার ও মরিনিওর একসময়ের শিষ্য
দিয়েগো মিলিতো।
ডাগআউটে উদ্ভট সব কাণ্ড করে প্রায়ই আলোচনায় থাকেন মরিনিও। কোনো সিদ্ধান্তকে অগ্রহণযোগ্য মনে হলে রেফারির
সঙ্গে লেগে পড়তেও কুণ্ঠাবোধ করেন না। শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাব ফুটবলে সবচেয়ে বেশি লাল কার্ড দেখার বিব্রতকর রেকর্ডটা
মরিনিওরই।
এই তো সম্প্রতি তুর্কি সুপার লিগে ত্রাবজোনস্পোরের বিপক্ষে তাঁর দল ফেনেরবাচের জয়ের রাতে ম্যাচ অফিশিয়ালদের নিয়ে
বিতর্কিত মন্তব্য করে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটাচ্ছেন। সঙ্গে জরিমানা গুনেছেন ২০ হাজার পাউন্ডের (৩০ লাখ ৫৭ হাজার
টাকা) মতো।
দলকে রক্ষা করতেই মাঠে তিনি বদমাশ হিসেবে আবির্ভূত হন এবং খেলোয়াড়দের ওপর থেকে চাপ কমান। কিন্তু ভেতরে তিনি খুব
মজার মানুষ। ব্যক্তিগতভাবে, তিনি আমার কাছে সত্যিই এক অসাধারণ ব্যক্তি।’
৬১ বছর বয়সী মরিনিও রিয়াল মাদ্রিদ, ইন্টার মিলান, চেলসি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, টটেনহাম, এএস রোমা, বেনফিকা, এফসি
পোর্তোর মতো ক্লাবগুলোতে কোচিং করিয়েছেন। নিজেকে ‘স্পেশাল ওয়ান’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন।
এ মুহূর্তে তুর্কি সুপার লিগ পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে আছে মরিনিওর ফেনেরবাচে। আগামীকাল রাশিয়ান ক্লাব জেনিত সেন্ট
পিটার্সবার্গের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে ইস্তাম্বুলের ক্লাবটি। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার কারণে কালকের ম্যাচে মরিনিওকে দেখা
যাবে না। আন্তর্জাতিক বিরতি শেষে ২৩ নভেম্বর কাইসেরিস্পোরের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ডাগআউটে ফেরার কথা তাঁর।
তথ্যসূত্র: অনলাইন থেকে সংগৃহীত