ছবি: অনলাইন থেকে সংগৃহীত
আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) মতিউর রহমান ওরফে পিন্টু, তার
দুই স্ত্রী ও পাঁচ সন্তানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে । একই সঙ্গে তাদের মোবাইলে আর্থিক সেবার (এমএফএস) হিসাব ও
শেয়ারবাজারের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত
এসব হিসাবে আর কোনো লেনদেন করা যাবে না।
যাদের ব্যাংক ও বিও হিসাব স্থগিতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন— মতিউর রহমান, তার প্রথম স্ত্রী লায়লা
কানিজ, প্রথম স্ত্রীর মেয়ে ফারজানা রহমান ইপ্সিতা, প্রথম স্ত্রীর ছেলে আহাম্মেদ তৌফিকুর রহমান, দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার
শিবলী, দ্বিতীয় স্ত্রীর মেয়ে ইফতিমা রহমান মাধুরী, দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত, দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে ইরফানুর
রহমান ইরফান।
আটজনের ব্যাংক, এমএফএস ও বিও হিসাবের যাবতীয় তথ্য চেয়েছে বিএফআইইউ। আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের
ব্যাংক হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একটি ব্যাংক এ চিঠি
পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মতিউর, তার প্রথম স্ত্রী ও ছেলের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞামতিউর, তার প্রথম স্ত্রী ও ছেলের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বিএফআইইউ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।
আলাদাভাবে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশের পর
শেয়ারবাজারে মতিউর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা মোট ১৬টি বিও হিসাব জব্দ করা হয়েছে।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, মতিউর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির বিষয়ে দুদক যে তদন্ত করছে, তার অংশ
হিসেবে তাঁদের বিও হিসাব জব্দের অনুরোধ জানানো হয়। দুদকের ওই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি এসব বিও হিসাব
জব্দের ব্যবস্থা নেয়।
আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তা-ও নেওয়া হয়েছে দুদকের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে।
বিএফআইইউ গতকাল মঙ্গলবার একটি চিঠি দিয়ে ব্যাংক ও এমএফএসগুলোকে তাদের এ নির্দেশনা জানিয়ে দিয়েছে। তবে
ব্যাংক কিংবা এমএফএস হিসাবে মতিউর রহমান কিংবা তাঁর পরিবারের সদস্যদের কী পরিমাণ অর্থ গচ্ছিত রয়েছে, তা
জানা যায়নি।
মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে গত ৪ জুন পাওয়া অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিন সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মতিউর রহমানের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিরুদ্ধে দলটি অনুসন্ধান শুরু করেছে।
মতিউর রহমান, তার স্ত্রী ও ছেলেকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। মতিউর রহমান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের
(এনবিআর) কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট এবং সোনালী ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন।
তথ্যসূত্র: অনলাইন থেকে সংগৃহীত