ছবি: অনলাইন থেকে সংগৃহীত
টাইমস হায়ার এডুকেশনের ‘এশিয়া ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং ২০২৪’-এ তালিকায় ৩০১-৩৫০ এর মধ্যে স্থান করে নিয়ে
বুয়েটের সাথে যৌথভাবে দেশসেরা হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। মর্যাদাপূর্ণ র্যাঙ্কিং এ ভালো অবস্থানে চলে এলেও
শিক্ষকদের গাফলতিতে সেশনজটে ধুঁকছে শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা বিধি ২০০৩-এর ২০ (iii)-এ বলা হয়েছে, প্রতি ৫ খাতার জন্য একদিন হিসেবে মোট সময় (দিন)
হিসেব করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে খাতা দেয়া হবে। আর বিধি ২৬ (iii)-এ বলা হয়েছে, লিখিত পরীক্ষা শেষ হবার ৭৫ কর্মদিবসের
মধ্যে অবশ্যই ফল প্রকাশ করতে হবে।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের সূত্রে পাওয়া তথ্য বলছে, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪৬ ব্যাচের স্নাতকোত্তরের থিসিস
এখনও শেষ হয়নি। পরীক্ষার ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি।
ইংরেজি বিভাগেও সেশন জটে ওই বিভাগের ৪৬ ব্যাচের স্নাতকোত্তর পরীক্ষার আট মাস হয়ে গেলও ফলাফল প্রকাশিত
হয়নি।
এদিকে, সেশনজটে সকল বিভাগ ও অনুষদকে পিছিলে ফেলে শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে ফার্মেসী বিভাগ। ভর্তির সাত বছরেও
স্নাতক শেষ করতে পারেনি ফার্মেসি বিভাগের ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের (৪৬ ব্যাচ) শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মান ও পরিমাণ বাড়লেও শিক্ষার্থীদের সেশনজট কমাতে বিশ্ববিদ্যালয়
প্রশাসন বা শিক্ষকরা কোন কার্যকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না।
কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোজাম্মেল হক দ্রুতই এসব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। আর শিক্ষকদের
উদাসীনতাকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৭৫ কর্মদিবসের মধ্যে ফল প্রকাশের নিয়ম থাকলেও
কোন কোন শিক্ষক খাতা দেখে এই সময়ের মধ্যে জমা দেন না। এই দু’একজন শিক্ষকের জন্য সবাইকে ভুক্তোভোগী হতে হয়।
এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার তাগিদ দেন তিনি।
এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মালিহা নার্গিস আহমেদ এর সাথে দেখা করতে তার বিভাগে গেলে পাওয়া যায়নি।
পরে মুঠোফোনে কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তথ্যসূত্র: অনলাইন থেকে সংগৃহীত