ছবি: অনলাইন থেকে সংগৃহীত
মামলায় বিপর্যস্ত ইমরানের খানের নিজের দলীয় প্রধানের পদও ছাড়তে হয়েছে। পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান
হয়েছেন গহর আলী খান। পাকিস্তানের ২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে নিজ শহর মিনওয়ালিসহ দুই
আসনে কারাগার থেকেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে ইমরান খানের দল। তবে পিটিআইয়ের নির্বাচনে অংশগ্রহণ
এখনো অনিশ্চিত। কারণ সম্প্রতি পিটিআইকে বেআইনি ঘোষণাসহ ইমরান খানের দলীয় প্রতীক ব্যাট বাতিল
করেছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বিরোধে গিয়ে ইমরানের পরিণতিই হয়েছিল নওয়াজ শরিফের।
কারাগার থেকে ‘উন্নত চিকিৎসার’ জন্য ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন গিয়েছিলেন
তিনি। মূলত ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে সরানোর ছক তিনি কষেছিলেন লন্ডনে বসেই। সাধারণ নির্বাচনের
লক্ষ্যে ৯ আগস্ট জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে নওয়াজের ছোট শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন
জোট সরকারের অবসান ঘটে।
পরপরই শুরু হয় নওয়াজের দেশে ফেরার গুঞ্জন। পরবর্তী সময়ে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে পরে গঠিত
হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ২১ অক্টোবর দেশে ফেরেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতা
নওয়াজ শরিফ।
দেশে ফিরেই একের পর এক মামলা থেকে খালাস পেতে থাকেন তিনি। নওয়াজের মামলা থেকে খালাস পাওয়াকে
সেনাবাহিনীসহ দেশের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সমঝোতার অংশ বলে মনে করেন অনেকে।
রাজনৈতিক সংকটের পাশাপাশি ২০২৩ সালে অর্থনৈতিক সংকটের চরম মাত্রায় পৌঁছেছে পাকিস্তান। মুদ্রাস্ফীতি
বাড়তে থাকে। এ বছরই পাকিস্তানি রুপির মান রেকর্ড সর্বনিম্নে পৌঁছেছে। বছরের শুরুর মাসেই দেশটির
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ৩ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারে নেমে যায়। পাকিস্তানের ভোক্তা মূল্যসূচক (সিপিআই)
গত মে মাসে রেকর্ড ৩৮ শতাংশ বাড়ে। মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় দেশটির নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য পাকিস্তানে
বিনামূল্যে ময়দা কর্মসূচি চালু করা হয়েছিল। মার্চ-এপ্রিলে করাচিতে বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে পদদলিত হয়ে
১০ জনের বেশি লোক নিহত হন।
রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট ছাড়াও ২০২৩ সালের কয়েকটি সন্ত্রাসী ও আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা
পাকিস্তানকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এই বছরের প্রথম ৬ মাসে অন্তত ২৭১টি জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩৮৯
জন নিহত এবং ৬৫৬ জন আহত হয়েছেন। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে পাকিস্তানের প্রদেশ খাইবার
পাখতুনখাওয়ায় একটি রাজনৈতিক সমাবেশে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৪০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন।
সেপ্টেম্বর মাসে পাকিস্তানের দুটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়েছে। এতে নিহত হয়েছিলেন ৫৭ জন।
তথ্যসূত্র: অনলাইন থেকে সংগ্রহীত