ছবি: অনলাইন থেকে সংগৃহীত
সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত থেমে থেমে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ব্যাপক সংঘর্ষে
মর্টারশেলের শব্দে কেঁপে উঠছে টেকনাফ পৌরশহর। বিস্ফোরণের শব্দ এবং নদীর ওপারে কালো ধোঁয়া দেখে আতঙ্কিত
হয়ে পড়েছেন নাফ নদী তীরবর্তী উপজেলার বাসিন্দারা।
গত দুই দিন ধরে বিস্ফোরণের শব্দ তীব্রতর হচ্ছে।’আজও টেকনাফ থেকে মর্টার শেল ও বোমার বিস্ফোরণের বিকট শব্দ
শোনা যাচ্ছে এবং এর তীব্রতার কারণে মানুষ নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছে’, বলেন তিনি। তবে গতকাল টেকনাফ পৌর
এলাকা থেকে ওপারের ঘন কালো ধোঁয়া দেখা গেলেও আজ কোনো ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে না বলে জানান টেকনাফের উপজেলা
চেয়ারম্যান নুরুল আলম।
টেকনাফ (২ বিজিবি) ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের
অভ্যন্তরে চলছে। সীমান্তের এপারে মাদক ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বর্ডার গার্ড বিজিবির টহল কার্যক্রম জোরদারের
পাশাপাশি টেকনাফ সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তে বসবাসরত বাংলাদেশের নাগরিকদের সতর্ক থাকার
পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই জান্তা সরকারের সেনা ও আরাকান
আর্মির মধ্যে সংঘাত তীব্র হয়। মিয়ানমার জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘর্ষে শনি ও রোববার
নাফ নদী হয়ে টেকনাফে আরও ১২৮ সশস্ত্র মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্য আশ্রয় নিয়েছে।
তথ্যসূত্র: অনলাইন থেকে সংগৃহীত