ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ নগর ভবনের হলরুমে দ্বিতীয় পরিষদের ২৭তম
করপোরেশন সভার আলোচনায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো: আতিকুল ইসলাম
কাউন্সিলরদের আহ্বান জানান ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর বাড়িসহ আশপাশের এলাকায় সচেতনতা কার্যক্রম জোরদার করার ।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগীর তালিকা অনুযায়ী তাদের ঠিকানা সংগ্রহ করে রোগীর বাড়িসহ আশপাশের এলাকায়
ব্যাপকভাবে সচেতনতা কার্যক্রম চালাতে হবে। কাউন্সিলরদের আহ্বান করছি, আপনারা নিজ নিজ ওয়ার্ডের ডেঙ্গু আক্রান্ত
রোগীদের বাড়িতে যাবেন, খোঁজ নেবেন; তাদের আশপাশের মানুষদের সচেতন করবেন।’
কাউন্সিলরদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, ‘স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, রাজনীতিবিদ, ইমাম, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সবাইকে
নিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে করণীয় সম্পর্কে মতবিনিময় সভা, সচেতনতামূলক র্যালি করতে হবে। এজন্য প্রত্যেক কাউন্সিলরকে
৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হচ্ছে।
‘সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ওষুধ প্রয়োগ করা, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করার পাশাপাশি জনসচেতনতা
জরুরি৷ জনগণের মাঝে বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে- এডিসের লার্ভা যেন জন্মাতে না পারে সেজন্য তারা যেন নিজেদের
ঘরবাড়ি, অফিস পরিচ্ছন্ন রাখে। ছাদে, বারান্দায়, পরিত্যক্ত টায়ার, ডাবের খোসা, মাটির পাত্র, খাবারের প্যাকেট,
অব্যবহৃত কমোড- এসব জায়গায় পানি জমতে দেয়া যাবে না।’
কাউন্সিলরদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, খাল উদ্ধারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যার যার এলাকায় খাল দখল রয়েছে এবং
দখলদার কারা আমাকে জানাবেন। আপনারা তথ্য দেবেন সে অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করে খাল দখলমুক্ত করা হবে।
খাল দখলদারদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
গতবারের মতো এ বছরও ডিএনসিসি এলাকার কোরবানির পশুর হাটে ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা থাকবে বলে ঘোষণা দেন
ডিএনসিসি মেয়র।
সভায় ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় অন্যান্যের সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান,
ডিএনসিসির সকল বিভাগীয় প্রধান ও ডিএনসিসির কাউন্সিলরবৃন্দ এবং অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যসূত্র: অনলাইন থেকে সংগৃহীত