ছবি: প্রথম আলো
মেহেরপুরের তিন উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষিজমি পানিতে তলিয়ে গেছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে গত সোমবার রাত
পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিতে মেহেরপুর সদর, মুজিবনগর ও গাংনী উপজেলার ৩৩টির বেশি গ্রাম ও ফসলি জমিতে পানি ঢুকে পড়েছে। মাছের
পুকুর, আউশ ও আমন ধান, ক্ষীরা ও কাঁচা মরিচের খেত প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয় সূত্র ও কৃষকেরা বলছেন, পলি পড়ে ভরাট হয়ে
যাওয়া ও খনন না করায় নদী দিয়ে পানি নিষ্কাশিত না হওয়ায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।
মেহেরপুর সদর উপজেলার চান্দবীল, আমঝুপি, বারাদি, শ্যামপুর, কালাচান্দপুর, আশরাফপুর, গাংনী উপজেলার বামুন্দী, কাজীপুর,
তেঁতুলবাড়িয়া, হেমায়াতপুর, মটমুড়া, ষোলটাকা, জোড়পুকুর, মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান, কেদারগঞ্জ ও শিবপুর এলাকায় পানি
বেড়েছে।
মেহেরপুর সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামের বাসিন্দা মিয়া আক্কাস বলেন, টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ক্ষীরার খেত পানিতে ডুবে
গেছে। খেতের বাঁশের মাচা ভেঙে পড়েছে।
গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া এলাকায় সবচেয়ে বেশি কাঁচা মরিচের চাষ হয়ে থাকে। ওই এলাকার প্রান্তিক কৃষক হাফেজদ্দিন মিয়া
প্রথম আলোকে জানান, এই কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও বাতাসে কাঁচা মরিচের গাছের গোড়া আলগা হয়ে গেছে। এতে বেশির ভাগ কাঁচা
মরিচের গাছ মাটিতে হেলে পড়েছে। চলতি বছরে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কাঁচা মরিচ উৎপাদন করা সম্ভব হবে না।
ঝোড়ো বাতাসে বৈদ্যুতিক তারের ওপরে হেলে পড়েছে সড়কের গাছ। এতে পুরো জেলার বেশির ভাগ এলাকা শুক্রবার থেকে
বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিদ্যুৎ বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারেনি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মেহেরপুর কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক স্বদেশ কুমার ঘোষ বলেন, মেহেরপুর জেলায় বিদ্যুতের কোনো সমস্যা
ছিল না। হঠাৎ নিম্নচাপের কারণে সড়কের পাশে দুর্বল গাছ বিদ্যুতের তারের ওপরে হেলে পড়েছে। কর্মীরা ২৪ ঘণ্টা কাজ করছেন।
কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ চালু করা হয়েছে এবং বাকি এলাকায় দ্রুত বৈদ্যুতিক লাইন চালুর চেষ্টা করা হচ্ছে।