ছবি: অনলাইন থেকে সংগৃহীত
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুমের ঘটনা তদন্তে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত কমিশনে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৬০০’র বেশি
অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানিয়েছেন গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী।
আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশানে গুম সংক্রান্ত কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক বিচারপতি মঈনুল ইসলাম
চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন।
কমিশন অভিযোগ করে, গুম হওয়া ব্যক্তিদের যেসব গোপন বন্দিশালায় রেখে নির্যাতন করা হতো, সেগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে।
আলামত নষ্ট করা হয়েছে। তবে যাঁরা আলামত নষ্ট করছেন, তাঁদের সতর্ক করেছে কমিশন। যাঁরা আালমত ধ্বংস করছেন, তাঁরা
গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সহযোগী হিসেবে বিবেচিত হবেন বলে সতর্ক করা হয়েছে। আলামত ধ্বংস না করার জন্য অনুরোধ
জানিয়েছে কমিশন।
মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, গত ৩১ অক্টোবর গুম সংক্রান্ত কমিশনে অভিযোগ জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে। এই সময়ের
মধ্যে এক হাজার ৬০০’র বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। ইতোমধ্যে ১৪০ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪০০
অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়েছে। ৪০০ অভিযোগের মধ্যে ১৭২টি অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন
ব্যাটালিয়নের (র্যাব)। কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে
৩৭টি অভিযোগের সঙ্গে। ডিবির (গোয়েন্দা পুলিশ) সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে ৫৫টির সঙ্গে। প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদফতরের
(ডিজিএফআই) সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে ২৬টির সঙ্গে। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে ২৫টি অভিযোগের
সঙ্গে।
পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বিশেষ শাখা,
গোয়েন্দা শাখা, আনসার ব্যাটালিয়ন, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), প্রতিরক্ষা বাহিনী, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা
মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), কোস্টগার্ডসহ দেশের আইন প্রয়োগ ও বলবৎকারী কোনো সংস্থার কোনো সদস্যের হাতে জোর
করে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানের জন্য এই তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
গত ২৭ আগস্ট কমিশন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনা তদন্তে হাইকোর্টের
একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে এই কমিশন গঠন করে সরকার।
তথ্যসূত্র: অনলাইন থেকে সংগৃহীত