ছবি: অনলাইন থেকে সংগৃহীত
আমাদের আশপাশে উপস্থিত রয়েছে অসংখ্য জীবাণু। এই জীবাণুগুলো সবসময় আমাদের শরীরের উপর আক্রমণ চালায়। তারপরও
আমাদের কথায় কথায় জ্বর, সর্দি, কাশি বা অন্যান্য সমস্যা হয় না। কারণ, ইমিউনিটি বা শরীরের নিজস্ব সৈন্যদল এসব জীবাণুর
বিরুদ্ধে লড়াইতে নেমে যায়। যার ফলে আমাদের সমস্যা হয় না।
তবে মাথায় রাখবেন, কিছু খাবার সরাসরি ইমিউনিটির ওপর আঘাত আনতে পারে। আর এমনটা ঘটলেই বিপদ! তখন বড়সড় রোগের
ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই আর দেরি না করে তেমনই কিছু খাবার সম্পর্কে বিশদে জেনে নিন।
মিষ্টিতেই বিপদের আশঙ্কা
ইমিউনিটিকে চাঙ্গা রাখতে চাইলে ভুলেও প্রতিদিন মিষ্টি খাবেন না। আমাদের মধ্যে অনেকেই মিষ্টির প্রেমে পাগল। তাই তারা
প্রতিদিন একাধিক মিষ্টি খান। এমনকি মিষ্টি ছাড়াও আইসক্রিম, চকোলেট খেয়েও সারেন রসনাতৃপ্তি। তবে মাথায় রাখতে হবে,
নিয়মিত মিষ্টি খেলে দেহে প্রদাহ বাড়তে পারে। যার ফলে কমতে পারে ইমিউনিটি। এমনকি খাওয়া চলবে না কোল্ড ড্রিংকস,
আইসক্রিম এবং চকোলেট। তাতেই সুস্থ থাকবেন।
লবণ খেলেই সর্বনাশ
আপনি কি রান্নায় অতিরিক্ত লবণ দেন? এমনকি খাবারের ওপর লবণ ছড়িয়ে খাওয়ার রয়েছে অভ্যাস? তাহলে দ্রুত সাবধান হতে
হবে। কারণ, লবণ শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই উপাদান শরীরে সোডিয়াম লেভেল বাড়িয়ে দিতে পারে। যার ফলে বৃদ্ধি পায়
প্রেশার। শুধু তাই নয়, নিয়মিত নুন খাওয়ার কারণে প্রদাহও বাড়তে পারে। সে কারণে ইমিউনিটি কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই
ভুলেও রোজ রোজ লবণ খাবেন না। তাতেই সুস্থ থাকার পথে এগিয়ে যাবেন।
ফাস্টফুড চলবে না
বিরিয়ানি, রোল, চাউমিন, বার্গার, পিৎজার মতো খাবার খেতে নিশ্চয়ই সুস্বাদু। তবে এই খাবারগুলো শরীরের জন্য অত্যন্ত
ক্ষতিকর। এগুলোতে উপস্থিত রয়েছে এজিইএস-নামক একটি উপাদান যা প্রদাহ কমাতে পারে। এমনকি অন্ত্রে উপস্থিত উপকারী
ব্যাকটেরিয়ার হাল করে দিতে পারে বেহাল। যার ফলে ইমিউনিটি কমে যেতে পারে। সেই সঙ্গে পিছু নিতে পারে একাধিক জটিল অসুখ।
তাই চেষ্টা করুন যে ভাবেই হোক ফাস্টফুড এড়িয়ে চলার।
প্রসেসড মিটের থেকে থাকুন দূরে
আজকাল অনেকেই প্রক্রিয়াজাত মাংস থেকে তৈরি হ্যাম, সসেজ, বেকন খাওয়ায় অভ্যাস্ত। তবে এই ধরনের প্রক্রিায়জাত মাংস
দিয়ে তৈরি খাবার শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এতে উপস্থিত রয়েছে একাধিক ক্ষতিকর উপাদান। আর এ সব উপাদান
শরীরের হাল বেহাল করে দেওয়ার কাজে সিদ্ধহস্ত। এমনকি ইমিউনিটি কমিয়েও দিতে পারে এই ধরনের খাবার। তাই ভুলেও রোজ
রোজ প্রসেসড ফুড খাবেন না। আশা করছি, তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।
রিফাইন কার্বেও বিপদ
ময়দা, বেসন থেকে তৈরি যে কোনো খাবারকে রিফাইন কার্বের তালিকায় রাখা যায়। আর এই ধরনের খাবার সুগার লেভেল বাড়িয়ে
দিতে পারে। যার ফলে পিছু নিতে পারে একাধিক সমস্যা। এমনকি কমে যেতে পারে ইমিউনিটি। তাই ভুলেও রোজ রোজ পাউরুটি,
পরোটার মতো রিফাইন কার্ব সমৃদ্ধ খাবার খাবেন না। তাতে বিপদ আরও বাড়তে পারে।
তথ্যসূত্র: অনলাইন থেকে সংগৃহীত