ছবি: অনলাইন থেকে সংগৃহীত
বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান ও ভাইজানখ্যাত সালমান খান— দুজনকে বলা হয় বলিউডের করণ-অর্জুন। পর্দার মতো
বাস্তবেও ছিল তাদের বন্ধুত্ব। কিন্তু আচমকাই ঘটে সম্পর্কে ছন্দপতন।
বলিউডে দুই সুপারস্টারের সম্পর্কে বড়সড় চিড় ধরে। এমনকি একসময় দুজনের মুখ দেখাদেখিও বন্ধ হয়ে যায়। যদিও
শাহরুখের সঙ্গে বন্ধুত্ব ভেঙে যাওয়া প্রথমে মেনে নিতে পারেননি বলিভাইজান।
সলমনের প্রাক্তন প্রেমিকা তথা অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কইফের জন্মদিনের পার্টিকে কথা কাটাকাটি শুরু হয়েছিল দুই
বলি তারকার। সেই তর্ক এমন জায়গায় পৌঁছয় যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ভেঙে যায় শাহরুখ ও সলমনের। প্রায় মুখ
দেখাদেখিও বন্ধ হয় দু’জনের মধ্যে। শাহরুখের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া প্রথমে মেনে নিতে পারেননি সলমন। এই
ঘটনা তাঁকে গভীর ভাবে প্রভাবিত করেছিল। ভাইজান এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন নিজেই।
শাহরুখকে নিজের ভাইয়ের মতোই ভাবতেন সলমন। তাই প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে আঘাত পেয়েছিলেন তিনি।
এই বন্ধুবিচ্ছেদে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সলমন বলেছিলাম, “শাহরুখকে আমি সব সময় ভালবাসতাম। ছোট
ভাইয়ের মতো মনে করতাম ওকে। তাই আঘাত তো পেয়েছি বটেই!
শাহরুখ জানিয়েছিলেন, তাঁকে ভালবাসা ও অপছন্দ করার সমস্ত দায় তিনি নিজেই নিতেই পছন্দ করেন। কোনও
সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার জন্য নিজেকেই দায়ী করেন তিনি। প্রিয়জনেদের হতাশ করার দুঃখ তিনিও বয়ে বেড়ান।
সম্পর্কে ক্ষমা চাওয়ার গুরুত্ব তিনিও জানেন। কিন্তু কোনও ভাবেই সরাসরি ক্ষমা চেয়ে উঠতে পারেন না। নিজের
ভিতরে কী চলছে, তা-ও প্রকাশ করতে পারেন না। জানিয়েছিলেন বলিউডের বাদশাহ।
সালমানের সঙ্গে বন্ধুত্ব ভেঙে যাওয়ায় কখনো দোষারোপ করেননি শাহরুখ খান। ২০১১ সালে ‘কফি উইথ করণ’
অনুষ্ঠানে এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে কিং খান বলেছিলেন, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পেছনে দায় তার। কিন্তু এ
জন্য সরাসরি ক্ষমা চাইতে পারবেন না তিনি। কারণ নিজের মনের কথা সহজে প্রকাশ করতে পারেন না।
যদিও অনেক কয়েক বছর বাদে ২০১৩ সালে বাবা সিদ্দিকীর পার্টিতে ফের শাহরুখ-সালমানের বন্ধুত্ব জোড়া লাগে।
এখন অবশ্য দুই খানের মধ্যে মাখো মাখো সম্পর্ক। গত বছর শাহরুখের কামব্যাক ছবি ‘পাঠান’-এ সালমানের
‘স্পেশাল অ্যাপিয়ারেন্স’ ছিল। তারপর সালমানের ‘টাইগার থ্রি’ ছবিতে শাহরুখকে দেখা গেছে ‘অতিথি’ হিসেবে।
তথ্যসূত্র: অনলাইন থেকে সংগৃহীত