শীতের মরশুমে আপনাকে যেভাবে চাঙ্গা রাখবে গাজর!

শীতের মরশুমে আপনাকে যেভাবে চাঙ্গা রাখবে গাজর!

ছবি: অনলাইন থেকে সংগৃহীত
শীতের মৌসুম মানেই বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু সবজির রমরমা। দৃষ্টিশক্তি ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের তথ্য বলছে, শিশুর
দৃষ্টিশক্তি কমার পিছনে দায়ী ভিটামিন এ-র অভাব। এই ভিটামিনের অভাবে রাতে দেখতে না পাওয়ার সমস্যাও হয়। গাজর ভিটামিন
এ-র সবচেয়ে ভালো উৎস। ফলে শিশুর ডায়েটে এই সবজি অবশ্যই রাখবেন।
এই সময়ে বাজার যেন শীতকালিন সবজিতে উপচে পড়ে। একেক সবজির একেক গুণ। প্রত্যেকের মধ্যেই লুকিয়ে নানা রোগ
প্রতিরোধের সমাধান। এদের মধ্যে অন্যতম গাজর। বিটাক্যারোটিন, ফাইবার, ভিটামিন কে, পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে
ভরপুর। শরীরের যাবতীয় শক্তির অন্যতম উৎস। এদিকে আবার ওজন কমাতে গাজরের জুড়ি মেলা ভার। আরও একাধিক গুণ রয়েছে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করে গাজর।

ডায়াবেটিসেও গাজর উপকারী। এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সাইটোকেমিক্যাল, যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
গাজর খেতে মিষ্টি হলেও এতে সুগারের মাত্রা খুবই কম। তাই ডায়াবেটিস থাকলে নিশ্চিন্তে খান গাজর। এই শীতে তাহলে ডেজার্টের
জন্য একটু গাজরের হালুয়া রাখতেই পারেন।
শীতকালে ঠান্ডা লাগার সমস্যা, সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো উচিত। তার জন্য
প্রয়োজন ইমিউনিটি। গাজরের ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও গাজরে থাকে লাইকোপেন
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
গাজর ওজন কমায়। কমলা রঙের এই সবজি খেলে তৃপ্ত হয় মন। যা বেশি খাবার খাওয়ার ইচ্ছাকে নিয়ন্ত্রণ করে। শরীরে ক্যালোরি
কম মাত্রায় দ্রবীভূত হয়। ওজন কমানোর ডায়েটে তাই গাজর মাস্ট।
কুচি কুচি করে কাটা হাফকাপ গাজরে থাকে ১.৮ গ্রাম ফাইবার ও ২০৫ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম। রক্তচাপ কমাতে ও হার্ট ভালো
রাখতে সোডিয়াম কম কিন্তু পটাশিয়াম ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে। এই নিউট্রেন্টের ব্যালান্স সোর্স হল
গাজর।
তথ্যসূত্র: অনলাইন থেকে সংগৃহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *