ছবি: অনলাইন থেকে সংগৃহীত
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন একটি শিপইয়ার্ডে যুদ্ধজাহাজ পরিদর্শন করেছেন। তার দেশ
যখন ‘যুদ্ধের প্রস্তুতি’ বাড়াচ্ছে, ওই মুহূর্তে তিনি এ পরিদর্শনে যান।
শুক্রবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে কিম দক্ষিণ কোরিয়াকে তার দেশের ‘প্রধান শত্রু’ হিসেবে ঘোষণা
করেছেন। পুনরেকত্রীকরণ এবং প্রচারের জন্য নিবেদিত সংস্থাগুলোকে জেটিসন করা হয়েছে।
‘এমনকি ০.০০১ মিমি’ আঞ্চলিক সীমানা লঙ্ঘনের জন্য যুদ্ধের হুমকি দিয়েছেন।
তিনি সম্প্রতি একটি সাবমেরিন থেকে নতুন কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের
প্রশংসা করেছেন। এটিকে উত্তরের নৌশক্তির বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত বলে অভিহিত
করেছেন কিম।
উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, নামফো ডকইয়ার্ডে কিম বলেন, দেশের সামুদ্রিক
সার্বভৌমত্বকে নির্ভরযোগ্যভাবে রক্ষা করতে এবং বর্তমানে যুদ্ধের প্রস্তুতি বাড়াতে নৌবাহিনীর
শক্তিশালীকরণ নিজেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করে।
হাইপারসনিক ওয়ারহেড, গুপ্তচর উপগ্রহ এবং কঠিন-জ্বালানি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক
ক্ষেপণাস্ত্রসহ একটি পরমাণু চালিত সাবমেরিন ২০২১ সালে মূল পার্টি কংগ্রেসে সেট করা কিমের
কৌশলগত অস্ত্রের ইচ্ছার তালিকায় ছিল।
পিয়ংইয়ং থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে নামফো শিপবিল্ডিং ঘাঁটিতে পরিদর্শনের সময়
কিমকে নির্মাণাধীন বিভিন্ন যুদ্ধজাহাজের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের নির্ধারিত একটি ‘নতুন
বিশাল পরিকল্পনা’র প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছিল। পরিকল্পনার বিস্তারিত কিছু জানানো
হয়নি।
‘কেসিএনএ’ বলেছে, কিম ‘আশা প্রকাশ করেছেন, ডকইয়ার্ডের কর্মীরা বিশ্বপর্যায়ে সফলভাবে বড়
যুদ্ধজাহাজ তৈরি করবে।’
বিশ্লেষকরা বলেছেন, জাহাজটি একটি বিদ্যমান ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিন থেকে পরিবর্তিত
হয়েছে; যা মূলত ১৯৫০-এর দশকে ডিজাইন করা হয়েছিল। একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে এর সীমাবদ্ধতা
ও দুর্বলতা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছে।
তথ্যসূত্র: অনলাইন থেকে সংগ্রহীত