সালমানকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয় কত টাকায় !

সালমানকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয় কত টাকায় !

ছবি: অনলাইন থেকে সংগৃহীত
গতকাল শুক্রবার ছিল ‘বিগ বস ১৮’-এর শুটিংয়ের দিন। বেশ কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই বলিউড সুপারস্টার সালমান খান
‘বিগ বস’এর শুটিং শুরু করেছেণ। শোনা যাচ্ছে, ভাইজান ‘সিকান্দার’ ছবির সেটেও খুব শিগগিরই ফিরতে চলেছেন। এদিকে
মুম্বাই পুলিশ সালমানের ওপর হামলার জট ক্রমে খুলতে চলেছে।
গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দল বারবার প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার পরও থামিয়ে রাখা যায়নি ভাইজানকে। রুপালি
পর্দার মতো বাস্তব জীবনেও যেন অকুতোভয় সালমান। নিজেকে চারদেওয়ালে বন্দী না রেখে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে
এসেছেন। এনসিপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিককে গুলি করে হত্যা করার পরও দমিয়ে রাখা যায়নি সালমানকে।
বাবা সিদ্দিকের মতো কাছের বন্ধুকে হারানো তাঁর জন্য যে বড় ধাক্কা, তা সবারই জানা। কিন্তু তিনি বাসায় বসে না
থেকে কর্মজীবনে ফিরতে চলেছেন।
এদিকে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দলের সদস্য সুখা নামের এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এই সুখাই নাকি
সালমানের বাসার বাইরে গুলিবর্ষণ করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই জেলে বসেই সালমানকে হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন। মুম্বাই পুলিশ
চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, পানভেলে ফার্ম হাউসের কাছে সালমানকে মারার জন্য ৩০ লাখ টাকার প্রাথমিক
বাজেট দেওয়া হয়েছিল।
পুলিশ এই চার্জশিটে পাঁচজন অভিযুক্তের নামও উল্লেখ করেছে। জেরার মুখে পুলিশ জানতে পারে, আততায়ীরা
পাকিস্তান থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র একে ৪৭, একে ৯২ এবং এম ১৬ কেনার পরিকল্পনা করে।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সালমানকে হত্যার জন্য ১৮ বছরের কম বয়সী কিশোরদের কাজে নিযুক্ত করেছিল। তারা সবাই
পুনে, থানে, রায়গড়, গুজরাট ও নাভি মুম্বাইয়ে লুকিয়ে আছে। ৬০ থেকে ৭০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল শুধু সালমানের
গতিবিধির ওপর নজর রাখতে। তারা বিশেষ করে নজর রাখত ভাইজানের বান্দ্রার বাসা, পানভিলের ফার্ম হাউস ও
গোরেগাঁও ফিল্ম সিটিতে। চার্জশিটে উল্লেখ আছে, সালমানকে হত্যার ছক কষা হয়েছিল ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে
২০২৪ সালের এপ্রিলের মধ্যে।
পুলিশি তদন্তে আরও কিছু তথ্য বেরিয়ে আসে, সালমানকে হত্যার জন্য প্রস্তুত সকল শুটার নাকি কানাডায়
বসবাসকারী গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার ও লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোইয়ের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায়
ছিল এতদিন। সালমান খানকে গুলি করার পর সকল শুটারকেই কন্যাকুমারীতে একত্র হতে নির্দেশ দেওয়া ছিল। এরপর
নৌকা করে শ্রীলঙ্কায় পালিয়ে যেতে তাদের প্রতি পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া ছিল।

শ্রীলঙ্কায় পাড়ি দেওয়ার পর শুটারদের এমন একটি দেশে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যেখানে ভারতীয়
তদন্তকারী সংস্থাগুলো পৌঁছাতে পারবে না। এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্যই চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়।
তথ্যসূত্র: অনলাইন থেকে সংগৃহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *