সিডনিতে ফাগুন হাওয়া ইনকের আয়োজনে জ্যাকারান্ডা বিলাস

 সিডনিতে ফাগুন হাওয়া ইনকের আয়োজনে জ্যাকারান্ডা বিলাস

আন্তর্জাতিক 

গত ১২ নভেম্বর (রবিবার) ৮৫ জন নারীকে নিয়ে প্রতি বছরের ধারাবাহিকতায় ফাগুন হাওয়া ইনক সিডনির কোগরাস্থ হোগবেন পার্কে “জ্যাকারান্ডা বিলাস” ২০২৩ এর আয়োজন করে। জ্যাকারান্ডা ফুলের সাথে মিলিয়ে সবাই মিলে চমৎকার বেগুনি পোশাকে নিজেদেরকে সাজিয়েছিল। চারিদিকে এক বেগুনি রঙের আনন্দ উৎসবে সবাই মন খুলে আড্ডায় মেতে ওঠেন। পাশাপাশি বিভিন্ন বেগুনি সরঞ্জাম দিয়ে জায়গাটা সুন্দর করে সাজানো হয়।

অনেক মুখরোচক খাবার পরিবেশন করা হয়।

অনুষ্ঠানের পরিচালক তিশা তানিয়া বলেন, এত বেশি সাড়া আমরা এই অনুষ্ঠানের জন্য পেয়ে থাকি যে জনসমক্ষে ঘোষণার আগেই টিকেট বিক্রি হয়ে যায়। অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদেরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে স্বাগত বক্তব্য দেন ফাগুন হাওয়ার অন্যতম কর্ণধার কাউন্সিলর সাজেদা আক্তার সানজিদা।

জাকারান্ডা ফুলের সাথে মিল রেখে অসম্ভব সুন্দর একটা কেক কাটার পর রাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়।

ভবিষ্যতে সিডনিতে আরও বড় পরিসরে জ্যাকারান্ডা উৎসব পালিত হবে এবং অনেক পর্যটক ভিড় করবে এই স্বপ্ন ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এই প্রত্যয় ব্যক্ত করে অনুষ্ঠান শেষ হয়। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন, আফরিনা চৌধুরী, নিকাহ’র নাজিয়া মাহমুদ, মোঃ জাহিদ হোসেন, ওয়মেন্স কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়া, নিধিহ জুয়েলারি, টাস প্রিন্টিং। বিশেষ সহযোগিতায় ছিলেন নাজমুল হক, কিশোয়ার আখতার কাকলি, পলি ফরহাদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, শামিমা ইয়াসমিন, রোমানা প্রমুখ।   

অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন স্থান অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে কম বেশি বেগুনি নীল রংয়ের পাতাবিহীন সারি সারি জ্যাকারান্ডা ফুলে ফুলে বেগুনি হয়ে থাকে।

সাধারণত রাস্তার ধারে সারিবদ্ধ ভাবে লাগানো হয় আলংকারিক বা সৌন্দর্য বৃক্ষ হিসেবে।

এই উপলক্ষে প্রতি বছর অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ কিংবা নভেম্বরের প্রথম দ্বিতীয় সপ্তাহে “ফাগুন হাওয়া” ইনক অস্ট্রেলিয়া গত ২০১৮ থেকে জ্যাকারান্ডা মিলন মেলা করে আসছে মেয়েদের নিয়ে।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেওয়া বাংলা নাম হচ্ছে “নীলকণ্ঠ। জ্যাকারান্ডা ফুলের রঙ বেগুনি বা নীল রঙের হয়ে থাকে, বসন্তে কোনো পাতা থাকে না; ফলে গোটা বৃক্ষটিকে মনে হয় বেগুনি বা নীল বৃক্ষের মত, এই ফুল গাছ বসন্তে বেশ স্বাপ্নিক একটা আমেজ নিয়ে আসে। এই ফুলের নিজস্ব সৌন্দর্যের জন্য বিভিন্ন কৃষ্টিতে, সাহিত্যে, গানে বাজনায় এই ফুলের কথা আছে।

এমনকি কুসংস্কারেও বিভিন্ন জাতিতে রয়েছে জ্যাকারান্ডা ফুলের কথা।

Jacarandas মূলত ‘স্বপ্ন গাছ’ নামে পরিচিত । জ্যাকারান্ডা ফুলের নাম এসেছে লাতিন ভাষা থেকে। ৪৯টি প্রজাতি নিয়ে গঠিত বিগ্নোনিয়াসি (Bignoniaceae) পরিবারের একটি প্রজাতির নাম জ্যাকারান্ডা। এটাকে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এমনকি অস্ট্রেলিয়াতেও অনুপ্রবেশ করানো হয়েছে।

সাধারণত বেগুনী ও নীল এই দুই ধরনের ফুল সর্বত্র দেখা যায়। নীলকন্ঠ বা নীল জ্যাকারান্ডা (সাধারণ নাম: Blue Jacaranda, Neel gulmohur, Neelkanth) (বৈজ্ঞানিক নাম:Jacaranda mimosifolia) বিগ্নোনিয়াসি পরিবারের একটি উদ্ভিদ। এরা মাঝারি আকারের পত্রমোচি গাছ।

একটু ঝড়ো বাতাস বা বৃষ্টি হলে এই ফুল ঝরে পড়ে সবুজ ঘাস ও রাস্তার উপর যা দুর থেকে দেখে মনে হয় যেন কেউ বেগুনী রংয়ের কার্পেট বিছিয়ে রেখেছে। তবে বৃষ্টির সময় খুব সাবধানে গাড়ী চালাতে হয় বা পথ চলতে হয় কারন ফুল আর পানি মিলে রাস্তা প্রচুর পিচ্ছিল হয়ে থাকে।  

তথ্যসূত্র অনলাইন থেকে সংগৃহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *