গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।দুই দিনের
সফরে ঢাকায় আসেন ডোনাল্ড লু।রাজধানীর গুলশানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বাসায় সুশীল সমাজের
প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেছেন ঢাকা সফররত মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন
গণমাধ্যমকর্মী, মানবাধিকারকর্মী, শ্রমিক নেতা ও জলবায়ুকর্মী। মূলত নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সমসাময়িক
অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ডোনাল্ড লু, চিফ অফিস স্টাফ ন্যাথানিয়াল হাফট, ব্যুরো অব ইন্টেলিজেন্ট অ্যান্ড
রিসার্চের বিশ্লেষক সারাহ আল্ডরিচ, পিটার হাস, ইউএসএআইডির মিশন ডিরেক্টর রিড এসলিম্যান, পলিটিক্যাল কাউন্সিলর
আর্তুরো হাইনস, ডেপুটি পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কাউন্সিল শ্যারন ফিটজগ্যারল্ড, পলিটিক্যাল অ্যাটাচ ম্যাথিউ বেহ।
এ ছাড়া ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আছিম ট্রোস্টারও ছিলেন।
বাংলাদেশের নির্বাচনপরবর্তী গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, শ্রমনীতির অগ্রগতি, জলবায়ু সংকটসহ
নানা বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে গণমাধ্যম ইস্যুতেও কথা হয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে।
বৈঠক শেষে জলবায়ুবিষয়ক অ্যাক্টিভিস্ট সোহানুর রহমান বলেন, বৈঠকে গণমাধ্যম যেন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে সে
বিষয়ে নিজের অবস্থান জানিয়েছেন লু। এ ছাড়া ফিলিস্তিনি হত্যার নিন্দা জানিয়েছে প্রতিনিধি দল। জলবায়ু পরিবর্তন
মোকাবিলা ও তরুণদের উপকূলীয় এলাকা রক্ষায় লু আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের সুশীল সমোজের প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, শ্রমিক নেত্রী কল্পনা
আখতার, শ্রমিক নেতা বাবুল আখতার, জলবায়ুকর্মী সোহানুর রহমান ও মানবাধিকারকর্মী নুর খান লিটন।
আজ রাতে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসায় নৈশভোজে অংশ নেবেন
ডোনাল্ড লু। আগামীকাল বুধবার সকালে পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে ডোনাল্ড লুর সৌজন্য সাক্ষাৎ করার
কথা রয়েছে। পরে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গেও
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করবেন তিনি।