বাংলাদেশে গত অগাস্ট মাসে রাজনৈতিক পালাবদলের পর বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যেভাবে আকাশ ছুঁয়েছে,
তাতে অনেকেই ধারণা করছেন ভারত থেকে পণ্য রফতানির পরিমাণ আচমকা কমে যাওয়াটা এর পেছনে একটা বড় কারণ হতে
পারে।
কথাটা হয়তো আংশিকভাবে সত্যিও, কারণ অগাস্ট মাসেই বাংলাদেশে ভারত থেকে রফতানি এক লাফে প্রায় ২৮ শতাংশ কমে
গিয়েছিল – যদিও তা সেপ্টেম্বরে ধীরে ধীরে কিছুটা ‘স্বাভাবিক’ পর্যায়ে ফিরে এসেছে।
তবে চলতি অক্টোবরেই যেভাবে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যেকার বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থল বন্দর নানা কারণে দিনের পর দিন
বন্ধ থেকেছে, তাতে এই মাসেই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ আবারও কমে গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই বলেও বিশ্লেষকরা
মনে করছেন।
এরই মধ্যে গত মাসের মাঝামাঝি ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানির ওপর বেশ কিছু বিধিনিষেধ তুলে নেয় – যদিও
পর্যবেক্ষকদের ধারণা সেই সিদ্ধান্তের পেছনে আসল কারণ ছিল মহারাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচন।
তাতে ক্রেতাদের সাময়িক স্বস্তি মিললেও বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম আবারও ভীষণ বেড়ে গেছে। সঙ্গে চাল, ভোজ্য
তেল ও চিনিরও।
এদিকে ভারতে একাধিক গবেষণা সংস্থা বা রেটিং এজেন্সি তাদের সাম্প্রতিক রিপোর্টে মন্তব্য করেছে, বাংলাদেশে অস্থিরতা
যদি বেশি দিন চলে তাতে ভারতের রফতানিমুখী বিভিন্ন শিল্প মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং বাংলাদেশে রফতানির
পরিমাণ হু হু করে কমতে পারে।
তথ্যসূত্রঃ সংগৃহীত