ছবি: অনলাইন থেকে সংগৃহীত
তাঁদের একজন পোশাককর্মী, অন্যজন বিউটি পারলারকর্মী। ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পশ্চিমদী সড়ক থেকে গত ৯ আগস্ট
তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় ২১ ও ২২ বছরের দুই তরুণীকে। একটি বাড়িতে আটকে রেখে ছয়জন তাঁদের দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। পরে
স্থানীয় শিক্ষার্থীদের কাছে ঘটনা খুলে বললে পরদিন সকালে অপর তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। পারলারকর্মী রাতেই পালিয়ে
আসতে সক্ষম হন।
এদিকে ত্রাণের আশায় কয়েকজন নারীর সঙ্গে ঢাকায় এসে গত ৭ সেপ্টেম্বর দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ৬৫ বছর বয়সী এক
নারী।
সারা দেশে অব্যাহতভাবে চলতে থাকা নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনার এ মাত্র তিন উদাহরণ।
এ–সংক্রান্ত মাসভিত্তিক মামলার তথ্য সে চিত্রই তুলে ধরছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সারা দেশের থানা ও আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০–এর বিভিন্ন ধারায় মোট ১২ হাজার ৭৬৯টি মামলা হয়েছে। এ সংখ্যা ৬ হাজার ২০২।
ধর্ষণের অভিযোগে ৪ হাজার ৩৩২টি ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ১ হাজার ৮৭০টি মামলা হয়। এ ছাড়া যৌতুকের কারণে নির্যাতনের ঘটনায় ৩ হাজার ২০৮টি, দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপের কারণে ৪৭, অপহরণের ঘটনায় ৩ হাজার ২৮৭ এবং শিশু পণবন্দী করে রাখার অভিযোগে ২৫টি মামলা হয়েছে।
মামলার তথ্য বলছে, ওই সময়ে যৌতুকের কারণে ১৩৬ নারী এবং ধর্ষণের পর ১২ নারী ও ১১ শিশুকে হত্যা করা হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে সারা দেশে ‘র্যাপিড রেসপন্স টিম’ (দ্রুত সাড়াদানকারী দল) গঠন করা হবে বলেজানিয়েছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ। একাধিক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, এ দলেপ্রশাসন, পুলিশ, আইনজীবী, কাউন্সিলর ও তরুণ সমাজের উপস্থিতি থাকবে। যে করেই হোক নির্যাতন কমিয়ে আনা এ সরকারেরঅন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
তথ্যসূত্র: অনলাইন থেকে সংগৃহীত