ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মানুষকে সুস্থ রাখে। মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য এটি যেমন জরুরি তেমন দৈহিক স্বাস্থ্যের জন্যও।
করোনাভাইরাস নামের মহামারি থেকে রক্ষা পেতে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা পরিচ্ছন্ন থাকা ও বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার
তাগিদ দিচ্ছেন। ইসলাম ১৪০০ বছর আগে মোমিনদের এ শিক্ষা দিয়েছে।
পরিচ্ছন্নতা তথা স্বাস্থ্য সচেতনতাকে ইমানের অংশ হিসেবে ধারণ করতে বলেছে। স্বাস্থ্য মানবজীবনে আল্লাহর এক মূল্যবান
নিয়ামত। ইসলাম মোমিনদের স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে। আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদত
করার জন্য।
আর ইবাদত করতে হলে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা জরুরি। কেননা শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকলেই কেবল
একাগ্রতার সঙ্গে অল্লাহর ইবাদত করা সম্ভব। একজন মোমিন যেন শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকে সে বিষয়ে ইসলাম
গুরুত্ব দিয়েছে। রসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘দুর্বল মোমিনের তুলনায় সবল মোমিন অধিক কল্যাণকর ও আল্লাহর কাছে
অধিক প্রিয়।
তবে উভয়ের মধ্যেই কল্যাণ রয়েছে। ’ (মুসলিম) মানুষকে সুস্থ থাকতে হলে তাকে অবশ্যই শরীর ও স্বাস্থ্যের প্রতি নজর
রাখতে হবে। সেই সঙ্গে প্রতিদিন নিয়মিতভাবে শরীর ও স্বাস্থ্যের পরিচর্যা করতে হবে। প্রতিনিয়ত খেয়াল রাখতে হবে কোনো
অসচেতনতার কারণে যেন সে ব্যাধিগ্রস্ত হয়ে না পড়ে। কোনো কারণে মানুষ অসুস্থ হলে আল্লাহ তাকে তার অসুস্থতার কারণে
নেকি দান করেন।
তবে ইচ্ছাকৃতভাবে অসুস্থ হলে অবশ্যই তাকে কেয়ামতের দিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। তা ছাড়া অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা
গ্রহণের চেয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সুস্থ থাকাকে ইসলাম উৎসাহিত করেছে। নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, ‘কেয়ামতের
দিন বান্দাকে নিয়ামত সম্পর্কে সর্বপ্রথম যে প্রশ্নটি করা হবে তা হলো তার সুস্থতা সম্পর্কে। তাকে বলা হবে আমি কি তোমাকে
শারীরিক সুস্থতা দিইনি?’ (তিরমিজি) সুতরাং প্রত্যেক মোমিনের অবশ্যপালনীয় দায়িত্ব হলো প্রতিনিয়ত শরীর ও স্বাস্থ্যের
প্রতি যত্নশীল হওয়া। ইসলামের আদেশ অনুযায়ী মোমিন বান্দা প্রথমত খেয়াল রাখবে যেন সে কখনো শারীরিক ও
মানসিকভাবে অসুস্থ না হয়ে পড়ে। অবশ্য কখনো কোনো কারণে অসুস্থ হলে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করবে। এ বিষয়ে কোনো
প্রকার অলসতা করা চলবে না। কেননা নবী (সা.) তাঁর সাহাবিদের দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করতে উৎসাহিত করেছেন এবং
তিনি নিজে অসুস্থ হলে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘হে আল্লাহর বান্দারা! তোমরা চিকিৎসা গ্রহণ
কর, কেননা আল্লাহ এমন কোনো রোগ সৃষ্টি করেননি যার প্রতিষেধক তিনি সৃষ্টি করেননি। তবে একটি রোগ আছে যার
কোনো প্রতিষেধক নেই, তা হলো বার্ধক্য। ’ (আবু দাউদ)
লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক
তথ্যসূত্র: অনলাইন থেকে সংগৃহীত